গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়
আপনি কি জানতে চান গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি জানতে পারবেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মনে করে গ্রামে থেকে কোনো ব্যবসা করা যায় না। ব্যবসা করতে হলে শহরে যেতে হয়। আমি তাদেরকে বলবো আপনি আমার এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুণ তাহলে আপনি জানতে পারবেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়।
আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশ জনসংখ্যা গ্রামে বসবাস করে। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানেনা গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়। তারা মনে করে ব্যবসা করতে হলে শহরে যেতে হয়। কিন্তু তারা জানেনা এমন কিছু ব্যবসা আছে যে ব্যবসা গুলো গ্রামে করলে শহরের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়া যায়।"গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়" এই আলোচনা শুরু করার আগে কিছু কথা আলোচনা না করলেই নয়। সেটি হলো, যে কোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সেই ব্যবসা সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে শুরু করতে হবে। তা না হলে ব্যবসায় আপনার লাভের পরিবর্তে লস হতে পারে। মোট কথা যে কোনো ব্যবসায় লাভবান হতে হলে আপনাকে সেই ব্যবসাকে ভালবাসতে হবে আগে ব্যবসাটিকে আপনার নিজের সম্মান করতে হবে।
আপনাকে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। তাদের কথায় আপনার মনোবল নষ্ট করা যাবে না আপনার নিজের কাজটা ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে করে যেতে হবে। তবেই আপনি ব্যবসায় সফল হবেন।
আপনি কেনো গ্রামে ব্যবসা করবেন?
আমি যখন আলোচনা করতেছি গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় ? আপনার মনে তখন প্রশ্ন আসতে পারে আপনি কেনো গ্রামে ব্যবসা করবেন? এই প্রশ্নের উওরে আমি বলবো গ্রামে ব্যবসা করার অনেক গুলো সুবিদা আছে। যেমনঃ গ্রামে ব্যবসা করলে আপনার পুজি কম লাগবে,আপনি যদি গ্রামের মানুষ হয়ে থাকেন তবে শহরে ব্যবসা করার জন্য আপনার নিজের ব্যক্তিগত যে খরচ আছে গ্রামে ব্যবসা করলে সেই খরচ টি আপনার লাগবেনা। গ্রামের ব্যবসা গুলো শিক্ষিত ,অল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত লোকেরাও করতে পারে।
এমনকি কিছু কিছু ব্যবসা আছে যে ব্যবসা গুলো শহরের তুলনায় গ্রামে থেকে করলে লাভবান হওয়া যায়। গ্রামের ব্যবসা গুলো শহরের ব্যবসার তুলনায় সহজ। আপনি যদি গ্রামের ব্যবসা গুলো করেন তাহলে খুব অল্প টাকা খরচ করেই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
গ্রামের ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যায়?
গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? এই প্রশ্নে উওর আপনার যেরকম জানা দরকার পাশাপাশি আপনার জানা দরকার গ্রামে ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যায়? আসলে কি টাকা আয় করে যায়? আমি আপনাদেরকে বলবো আপনি শহরে কিংবা গ্রামে যেখানেই ব্যবসা করেন না কেনো সব জায়গাতেই টাকা আয় করা যায়। তবে গ্রামের ব্যবসা করে টাকা আয় করা তুলনা মূলক সহজ। গ্রামে ব্যবসা করেও ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা আয় করা যায়।
গ্রামের ব্যবসা করার জন্য কত টাকা পুজি লাগবে?
গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? এই প্রশ্নে উওর আপনার যেরকম জানা দরকার পাশাপাশি আপনার জানা দরকার গ্রামে ব্যবসা শুরু করার জন্য কত টাকা পুজি লাগবে?
আরো পড়ুনঃঅনলাইন থেকে দৈনিক ৫০০-১০০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
গ্রামে যে কোনো ব্যবসা শুরু করার জন্য শহরের তুলনায় পুজি অনেক কম লাগে। আপনি যদি মাসে ৫০ হাজার বা তার থেকে বেশি আয় করতে চান তাহলে আপনার ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পুজি লাগবে। তবে বেশি পুজি দিয়ে শুরু করতে পারলে আপনার ব্যবসা টা বড় হবে ইনকাম ও বেশি হবে।
গ্রামের সেরা ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া
১.কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবসা
২.কোচিং সেন্টারের ব্যবসা
৩.জুতার দোকানের ব্যবসা
৪.জুতা তৈরির ব্যবসা
৫.কাপড়ের দোকানের ব্যবসা
৬.মনিহার দোকানের ব্যবসা
৭.ইলেকট্রনিকস মালামালের দোকানের ব্যবসা
৮.ষ্টেশনারী পণ্যের ব্যবসা
৯.কলা চাষের ব্যবসা
১০.আখ চাষের ব্যবসা
১১.কলার পাইকারি ব্যবসা
১২.আখের পাইকারি ব্যবসা
১৩.ধানের ব্যবসা
১৪.গরু পালনের ব্যবসা
১৫.ছাগল পালনের ব্যবসা
১৬.পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা
১৭.ব্রইলার মুরগির ডিমের ব্যবসা
১৮.হাঁসের খামারের ব্যবসা
১৯.মাছ চাষের ব্যবসা
২০.কাচা মালের ব্যবসা
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবসা
"গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়" এই আলোচনায় গ্রামের ব্যবসার মধ্যে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবসা অন্যতম এবং স্মার্ট একটি ব্যবসা। আপনাদের মধ্যে যারা শিক্ষিত আছেন তারা চাইলে এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ। এই ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার শিক্ষাটা খুব জরুরি। দিন দিন ছেলে মেয়েরা কম্পিউটার শিক্ষার দিকে ঝুকতেছে। তাই আপনি চাইলে আপনার এলাকায় একটি কম্পিউটার সেন্টার খুলে ছেলে মেয়েদের ট্রেনিং দিতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
কোচিং সেন্টারের ব্যবসা
আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে কোচিং সেন্টারের ব্যবসাটি করতে পারেন। কারণ বর্তমানে আমাদের দেশে দিন দিন শিক্ষার হার বাড়তেছে। কিন্তু গ্রামে শিক্ষার হার শহরের তুলনায় অনেক কম । বেশির ভাগ গ্রামে ভালো কোনো কোচিং সেন্টার না থাকায় গ্রামের ছেলে মেয়েরা শহরের ছেলে মেয়েদের তুলনায় শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়তেছে।
তাই আপনি চাইলে আপনার গ্রামে ভালো মানের একটা কোচিং সেন্টার দিয়ে আপনার গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে পারেন। পাশা পাশি আপনার ভালো একটা ইনকাম হবে। গ্রামে কোচিং সেন্টারের ব্যবসাটি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
জুতার দোকানের ব্যবসা
আমরা সকলেই জুতার দোকান সম্পর্কে ভালো করেই জানি। জুতা আমরা সকলেই ব্যবহার করে থাকি। তাই জুতার ব্যবসাটি আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা জুতার ব্যবসা করে কিরকম ইনকাম করা যায়। আমি তাদের কে বলবো জুতার ব্যবসাটি অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
তাই আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা চাইলে জুতার ব্যবসাটি করতে পারেন। এই জুতার ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
জুতা তৈরির ব্যবসা
আমরা প্রায় সকলেই জুতার ব্যবসা সম্পর্কে জানি কিন্তু জুতা তৈরির ব্যবসা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। বর্তমানে জুতা তৈরির ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় ? আমি তাদেরকে বলবো আপনারা জুতা তৈরির ব্যবসাটি করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা কন্টেন্ট লিখে আয় করার উপায়
জুতা তৈরির ব্যবসাটি করার জন্য আপনাকে জুতা তৈরির একটি মেশিন কিনতে হবে। তার পর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে জুতা তৈরির ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
কাপড়ের দোকানের ব্যবসা
আপনারা যারা চিন্ত করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? আমি তাদেরকে বলবো আপনারা কাপড়ের দোকানের ব্যবসাটি করতে পারেন। আমরা সকলেই কম বেশি কাপড়ের ব্যবসা সম্পর্কে জানি।
কিন্ত কাপড়ের ব্যবসায় কিরকম লাভ হয় সেটা জানিনা। আমরা সকলেই কাপড় পরিধান করে থাকি। দিন দিন দেশের জনসংখ্যা বাড়তেছে তাই কাপড়ের ব্যবহারও বাড়তেছে। কাপড়ের চাহিদা কখোনো কমবেনা। তাই আপনি কাপড়ের দোকানের ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
মনিহার দোকানের ব্যবসা
আমরা সকলেই মনিহার দোকানের সাথে পরিচিত। মনিহার দোকানের ব্যবসাটি আমাদের সকলের পরিচিত একটি ব্যবসা। মনিহার দোকানের ব্যবসাটিও অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
তাই আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে মনিহার দোকানের ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
ইলেকট্রনিকস মালামালের দোকানের ব্যবসা
ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্রের ব্যবহার অনেক বাড়তেছে। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস মালামালের ব্যবসা খুবই লাভজনক এবং জনপ্রিয় একটি ব্যবসা।
তাই আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তাদেরকে বলবো আপনারা চাইলে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পুজি দিয়ে ইলেকট্রনিকস মালামালের দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
ষ্টেশনারী পণ্যের ব্যবসা
স্টেশনারী পণ্যের ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় এবং স্মার্ট একটি ব্যবসা এবং খুবই সহজ একটা ব্যবসা। আপনার বাড়ির আশে পাশে যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে থাকে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটা স্টেশনারী পণ্যের দোকান দিতে পারেন।
আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে স্টেশনারী পণ্যের ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
কলা চাষের ব্যবসা
আপনারা যারা গ্রামে বসবাস করেন এবং গ্রামে যাদের অনেক জমি আছে। কিংবা যাদের জমি নেই তারা চাইলে জমি লিজ নিয়ে কলা চাষ করতে পারেন। কলা বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় এবং উপকারী একটা ফল।কলা খুবই চাহিদা সম্পুর্ন একটা ফল।
কলার যেমন প্রচুর চাহিদা তেমনি কলা চাষ খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে কলা চাষ করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
আখ চাষের ব্যবসা
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা সকলেই আখ কি জিনিস তা জানি। আখ আমাদের দেশের খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটা ফসল। আখ সরাসরি জমি থেকে ও বিক্রি করা যায় আবার আখ রস করেও বিক্রি করা যায় আবার আখের রস আগুনে জাল দিয়ে গুর তৈরি করা যায়।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় করার ১০ টি সেরা উপায়
সুতরাং আখ চাষ খুবই লাভ জনক। আপনারা যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে আখের বানিজ্যিক চাষ করতে পারেন। এই আখ চাষের ব্যবসা করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
কলার পাইকারি ব্যবসা
পূর্বে আমরা কলা চাষের ব্যবসা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এখন জানবো কলার পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে। বাংলাদেশে কলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে তাই কলার পাইকারি ব্যবসা খুবই লাভজনক ব্যবসা। কলার পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সরাসরি কৃষকের জমি থেকে অনেক গুলো কলা একসাথে কিনে নিয়ে তা আরদে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করতে হবে। এই ব্যবসাটি কলা চাষের তুলনায় অনেক সহজ।
তাই আপনারা যার গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় চিন্তা করতেছেন তারা চাইলে কলার পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। কলার পাইকারি ব্যবসা করে মাসে ৫০ জাহার টাকা আয় করা যায়।
আখের পাইকারি ব্যবসা
পূর্বে আমরা আখ চাষের ব্যবসা সম্পর্কে জেনেছি। আমরা এখন আখের পাইকারি ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করবো। আখের পাইকারি ব্যবসা খুবই লাভ জনক। যাদের পুজি কম তারা আখের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন। আখের পাইকারি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সরাসরি কৃষকের জমি থেকে আখ কিনে নিয়ে আরদে কিংবা খুচরা বিক্রেতা দের কাছে বিক্রি করতে হবে।
আখের পাইকারি ব্যবসাটি করার জন্য যেহেতু পুজি কম লাগে এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। তাই যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? তারা চাইলে আখের পাইকারি ব্যবসাটি করতে পারেন। আখের পাইকারি ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
ধানের ব্যবসা
আমরা যেহেতু মাছে ভাতে বাঙ্গালী। তাই ধান আমরা সকলেই চিনি। যদিও বর্তমানে সার এবং কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে ধান চাষ খুব বেশি লাভজনক না। কিন্তু ধানের যেহেতু চাহিদা অনেক বেশি তাই ধানের ব্যবসা অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
আপনারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কম দামে যদি ধান কিনে নিয়ে ধানের ব্যবসা করেন তাহলে এটি খব লাভজনক একটি ব্যবসা। তাই আপনারা যারা বেকার বসে আছেন কিংবা গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় খুজতেছেন তারা চাইলে ধানের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
গরু পালনের ব্যবসা
আমাদের মধ্যে যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা সকলেই গরু পালনের সাথে পরিচিত। গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা গরু পানল করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। গ্রামের প্রায় ৯০% বাড়িতে গরু পালন করে থাকে। কিন্তু তারা জানেনা উন্নত প্রযক্তিতে গরুর খামার করে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার থেকেও বেশি আয় করা যায়।
তাই যারা বেকার বসে অলস সময় পার করতেছেন কিংবা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা চাইলে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নত প্রযক্তিতে গরুর খামার করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
ছাগল পালনের ব্যবসা
আমাদের মধ্যে যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা সকলেই ছাগল পালনের সাথে পরিচিত। গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা ছাগল পানল করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। গ্রামের প্রায় ৮০% বাড়িতে মা বোনেরা ছাগল পালন করে থাকে। কিন্তু তারা জানেনা উন্নত প্রযক্তিতে ছাগলের খামার করে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার থেকেও বেশি আয় করা যায়।
তাই যারা বেকার বসে অলস সময় পার করতেছেন কিংবা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা চাইলে ৩ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নত প্রযক্তিতে ছাগলের খামার করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা
আমাদের মধ্যে যারা গ্রামে বসবাস করেন তারা অনেকেই পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসার সাথে পরিচিত। পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা। তবে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসায় লাভের পাশাপাশি লসের সম্বাবনাও থাকে। পোল্ট্রি মুরগি পালনের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে পোল্ট্রি মুরগি পালন সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে তারপর শুরু করতে হবে।
পোল্ট্রি মুরগি পালন সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে করতে পারলে পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসায় প্রচুর লাভ হয়। তাই যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা চাইলে পোল্ট্রি মুরগি পালনের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করলে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায় অনায়াসে।
ব্রইলার মুরগির ডিমের ব্যবসা
কথায় আছে যে ব্যবসায় ঝুকি বেশি সেই ব্যবসায় লাভও বেশি। ব্রইলার মুরগির ডিমের ব্যবসায় ঝুকি অনেক বেশি কিন্তু সঠিকভাবে করতে পারলে এই ব্যবসায় লাভ অনেক বেশি। ব্রইলার মুরগির ডিমের ব্যবসা শুরু করার আগে এই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নিয়ে তারপর শুরু করতে হবে।
যেহেতু এটি একটি লাভজনক ব্যবসা তাই আপনারা যারা এখনো বেকার চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা চাইলে ব্রইলার মুরগির ডিমের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
হাঁসের খামারের ব্যবসা
গ্রামের ব্যবসা গুলোর মধ্যে হাঁসের খামারের ব্যবসা অন্যতম। যারা অল্প শিক্ষিত বেকার তারা চাইলে হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হতে পারে। গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা হাঁসের খামার করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। তবে যে কোনো খামার শুরু করার পূর্বে সেই বিষয়ে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে শুরু করতে হবে। তা না হলে লস হওয়ার সম্বাবনা থাকে।
সেহেতু হাঁসের খামারের ব্যবসাটি খুবই লাভজনক ব্যবসা তাই যারা চিন্তা করতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা হাঁসের খামারের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
মাছ চাষের ব্যবসা
আমরা যেহেতু মাছে ভাতে বাঙ্গালী তাই মাছ আমরা সকলেই চিনি। গ্রামের ব্যবসা গুলোর মধ্যে মাছ চাষের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। মাছ চাষ ২ ভাবে করা যায়। একটি হচ্ছে পুকুরে মাছ চাষ আর আরেকটি হচ্ছে বায়োফ্লগ পদ্দতিতে মাছ চাষ। তবে গ্রামে বেশির ভাগ পুকুরে মাছ চাষ হয়ে থাকে। মাছ চাষ খুবই লাভজনক। তবে,মাছ এবং হাঁস একসাথে চাষ করলে বেশি লাভ হয়।
তাই যারা ভাবতেছেন গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় তারা চাইলে মাছ চাষ করতে পারেন। এই ব্যবসাটি করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
কাচা মালের ব্যবসা
আমরা বাংলাদেশের মানুষ সকলেই ভাত খাই আর ভাতের সাথে যে জিনিসটি না হলে চলে না সেটি হলো তরকারি। আর তরকারি রান্নার জন্য কাচামাল দরকার। সুতরাং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাচামালের চাহিদা অনেক বেশি। তাই কাচা মালের ব্যবসা অনেক লাভজনক একটি ব্যবসা।
সুতরাং যারা চিন্তা করতেছে গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। তারা চাইলে কাচা মালের ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা করেও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
আপনি কেনো গ্রামে ব্যবসা করবেন?
আমি
যখন আলোচনা করতেছি গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় ? আপনার মনে তখন প্রশ্ন
আসতে পারে আপনি কেনো গ্রামে ব্যবসা করবেন? এই প্রশ্নের উওরে আমি বলবো
গ্রামে ব্যবসা করার অনেক গুলো সুবিদা আছে। যেমনঃ গ্রামে ব্যবসা করলে আপনার
পুজি কম লাগবে,আপনি যদি গ্রামের মানুষ হয়ে থাকেন তবে শহরে ব্যবসা করার জন্য
আপনার নিজের ব্যক্তিগত যে খরচ আছে গ্রামে ব্যবসা করলে সেই খরচ টি আপনার
লাগবেনা। গ্রামের ব্যবসা গুলো শিক্ষিত ,অল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত
লোকেরাও করতে পারে।
এমনকি কিছু কিছু ব্যবসা আছে যে ব্যবসা গুলো শহরের তুলনায় গ্রামে থেকে করলে লাভবান হওয়া যায়। গ্রামের ব্যবসা গুলো শহরের ব্যবসার তুলনায় সহজ। আপনি যদি গ্রামের ব্যবসা গুলো করেন তাহলে খুব অল্প টাকা খরচ করেই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায়।
গ্রামের ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যায়?
গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়? এই প্রশ্নে উওর আপনার যেরকম জানা দরকার পাশাপাশি আপনার জানা দরকার গ্রামে ব্যবসা করে কত টাকা আয় করা যায়? আসলে কি টাকা আয় করে যায়? আমি আপনাদেরকে বলবো আপনি শহরে কিংবা গ্রামে যেখানেই ব্যবসা করেন না কেনো সব জায়গাতেই টাকা আয় করা যায়। তবে গ্রামের ব্যবসা করে টাকা আয় করা তুলনা মূলক সহজ। গ্রামে ব্যবসা করেও ৫০ হাজার বা ১ লাখ টাকা আয় করা যায়।
গ্রামের সেরা ১০ টি ব্যবসা কি কি?
১.কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবসা
২.কোচিং সেন্টারের ব্যবসা
৩.জুতার দোকানের ব্যবসা
৪.জুতা তৈরির ব্যবসা
৫.কাপড়ের দোকানের ব্যবসা
৬.মনিহার দোকানের ব্যবসা
৭.ইলেকট্রনিকস মালামালের দোকানের ব্যবসা
৮.ষ্টেশনারী পণ্যের ব্যবসা
৯.কলা চাষের ব্যবসা
১০.আখ চাষের ব্যবসা
শেষকথা
প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনেরা "গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়।" এই আর্টিকেলটিতে গ্রামে কি কি ব্যবসা করা যায়,কত টাকা পুজি লাগে,গ্রামে কেনো ব্যবসা করবেন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আপনারা আমার পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন।
আমার আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।