মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয় সেই সম্পর্কে জেনে নিন
মানুষের খুব সাধারণ সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্রণের সমস্যা। মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয় এ বিষয়ে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়, এ বিষয়ে আপনি যদি না জানেন। তাহলে আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়
মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়। এ বিষয়টা নিয়ে আমি আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। মুখে ব্রণ হওয়া একটি সাধারন সমস্যা। বিভিন্ন কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। যেমন- বয়ঃসন্ধিকালে, ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে, হরমোনের কারণে, ইনফেকশনের কারণে ইত্যাদি।
ব্রণ বা পিম্পল হলে সেটাকে না গেলে ফেলা পর্যন্ত আমরা যেন স্বস্তি পায় না। ত্বকের শত্রু হচ্ছে ব্রণ। ব্রণ প্রথমে ছোট ছোট দানা হয়ে ওঠে, তারপর এটাতে পুঁজ জমে, ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে।
এবং আমাদের আত্মবিশ্বাসও নষ্ট হয়। যে কোন বয়সের মানুষের ব্রণ হতে পারে। আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলেই, এই ব্রণের সমস্যা থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারবো। সেজন্যই ব্রণের সমস্যা হলে কি করা উচিত বা মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেই যে, মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়।
ব্রণ গেলে দেওয়াঃ আমাদের অনেকেরই বদভ্যাস আছে ব্রণ হলেই তা গেলে
দেই। এটা করা যাবে না। এ ধরনের বদভ্যাস থাকলে তা পরিবর্তন করতে হবে। অনেকে মনের
অজান্তেই ব্রণ গেলে দেয়, এগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ব্রণ খুটাখুটি করাঃ ব্রণ খুটাখুটি করার বদভ্যাস অনেকের মধ্যে দেখা
যায়। ব্রণ হলে নখ দিয়ে খুটাখুটি করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে করে ব্রণ
আরো বেশি বেড়ে যায়। নখ দিয়ে খুটাখুটি করলে মুখে দাগ হয়ে যায়। আপনি নখ দিয়ে
খুটাখুটি করলে আপনার সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
বারবার মুখ ধোয়াঃ অনেকে মনে করেন বারবার মুখ ধুলে দ্রুত ব্রণ ভালো হয়ে যাবে। এটা আসলে ঠিক না। শুধু পানি দিয়ে মুখ ধুলে ক্ষতি কম হয়। কিন্তু সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে বারবার মুখ ধুলে ইনফেকশন আরো বেড়ে যায়। তাই বারবার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুবেন না।
সঠিক ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাঃ আপনি প্রতিনিয়ত মুখ পরিষ্কার করার জন্য যে ফেসওয়াশ ব্যবহার করছেন, সেটা আপনার ত্বকের জন্য সঠিক কিনা সেটি আগে যাচাই করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজন বোধে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। সঠিক ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
ক্ষতিকর ক্রিম ব্যবহার করাঃ আমরা অনেক সময় বিজ্ঞাপন দেখে মুখের ক্রিম নির্বাচন করি। আসলে ক্রিম গুলো আমাদের ত্বকের যত্ন নেয় কি? এ বিষয়ে আমরা সেরকম ভাবে যাচাই করিনা। যার কারণে ভুলভাল ক্রিম ব্যবহার করে আমরা আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে ফেলি। তাই যেকোনো ক্রিম ব্যবহার করার আগে, আমরা যাচাই করে নিব এটা আমাদের ত্বকের জন্য ঠিক কিনা।
প্রিয় বন্ধু আপনি হয়তো আর্টিকেলটির এই পর্যায়ে এসে বুজতে পেরেছেন যে মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়। মুখের ব্রণের সমস্যা নিয়ে এই আর্টিকেলের মধ্যে আরো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব আশা করি সঙ্গে থাকবেন।
ব্রণ হলে যা করবেন না
ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা আমাদের চেহারা নষ্ট করে দেয়। এবং আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে ফেলে। যে কোন সময় যে কোন বয়সের মানুষের ব্রণ হতে পারে। বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়। সকালবেলা হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠে যদি দেখেন মুখে ব্রণ বা পিম্পল বের হয়েছে তাহলে সেদিনটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এবং আমাদের দৈনন্দিন কাজের যে আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই নষ্ট হয়। তাই আপনি ব্রণ হলে যা করবেন না, সে বিষয়গুলো নিয়ে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব। আশা করি আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, ব্রণ হলে যা করবেন না।
- রোদ এড়িয়ে চলুন।
- তেল যুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
- ব্রণে হাত লাগাবেন না। নখ দিয়ে খুঁটবেন না।
- চুলে এমন ভাবে তেল দিবেন, যেন তেল মুখ পর্যন্ত না আসে।
- তেল যুক্ত বা ফাস্টফুড, উচ্চ শর্করা যুক্ত খাবার খাবেন না।
আপনি ব্রণ হলে যা করবেন না, সে বিষয়গুলো এখানে দেওয়া হলো আশা করি আপনার উপকারে
আসবে এবং ব্রণের সমস্যায় আপনি এগুলো মেনে চলবেন।
সহজে ব্রণ দূর করার উপায়
আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমি এই আর্টিকেলে সহজে ব্রণ দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব।সহজে ব্রণ দূর করার উপায় জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোপুরি পড়ুন। আমাদের মুখে যখন ব্রণ বা পিম্পল হয়, তখন আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। আমরা শুধু ভাবতে থাকি সহজে ব্রণ দূর করার উপায় কি? চলুন তাহলে সহজে ব্রণ দূর করার উপায় কি? তা জানার চেষ্টা করি। এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। মিশ্রণটি সারারাত ব্রণে লাগিয়ে রাখুন।
শিশুর জ্বর কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়ের বিস্তারিত
সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আশা করি ব্রণ কমে যাবে। এক টুকরো বরফ কাপড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার ব্রণের উপরে ২০ সেকেন্ড রাখুন। এভাবে করতে থাকলে ব্রণ কমে যাবে। দ্রুত ব্রণ কমাবে টি ট্রি ওয়েল। টি ট্রি ওয়েল ব্রণের শত্রু। এক ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণে লাগিয়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ কমে গেছে। লেবুর রস রাতারাতি ব্রণ কমিয়ে দেয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লেবুর রস এক টুকরো তুলতে মাখিয়ে ব্রনে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।
সকালে নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ কমে গেছে। ডিমের সাদা অংশ ব্রণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটে, আঙ্গুল দিয়ে ব্রনের উপরে ৪-৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ কমে গেছে। সহজে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো এবং মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়, সেইসব বিষয় আপনার সঙ্গে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনার উপকার হবে।
কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন
কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন? এই দুশ্চিন্তার যেন কোন শেষ নেই। তবে আপনার জন্য সুখবর এই যে, কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন? এই বিষয় নিয়ে আমি আর্টিকেলটি লিখবো। আপনি যদি কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন এ বিষয়ে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনাকে নিয়ম মেনে, আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ না ধুয়ে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
এতে ভালো ফল পাবেন। নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। ব্রণ হলে নখ দিয়ে খুটাখুটি করবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। ফলমূল শাকসবজি খাবেন। সঠিক সময়ে ঘুমাবেন, অতিরিক্ত ঘুমানো এবং ঘুম কম হওয়াও ব্রণ হওয়াতে সহায়তা করে। তাই এসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। এবার চলুন ঘরোয়া ভাবে, কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন?
ব্রণ সারানোর কোন ঔষধ ব্যবহার করতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন। দুই তিন মাসের জন্য ঔষধ দিতে পারে। পাশাপাশি ক্রিম, জেল ও লোশন ব্যবহার করা যায়।
লেবুর রস মুখে মাখিয়ে নিন, তারপর ডিমের সাদা অংশ ফেটে মাস্ক করে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণও ভালো হবে সঙ্গে সঙ্গে মুখের কালচে দাগ দূর হবে।
সামান্য পরিমাণ সরিষা গুড়া এবং তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন, মিশ্রণটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে মুখের ব্রণ ভালো হবে এবং মুখের ব্রণের দাগ দূর হবে।
এক টুকরো বরফ পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্রনের উপরে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। পাঁচ মিনিট পরে আবার বরফ ব্যবহার করুন। সরাসরি বরফ লাগাবেন না।
লেবুর রস রাতে ঘুমানোর আগে তুলতে মাখিয়ে ব্রনের উপর লাগিয়ে দিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন ব্রণ শুকিয়ে পড়ে গেছে।
উপসহার
এই আর্টিকেলটিতে আমি মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করা উচিত নয় এবং কিভাবে চিরতরে ব্রণ দূর করবেন ও ব্রণ হলে যা করবেন না, ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এবং আপনার নিজের বা অন্য কারো ব্রণের সমস্যা দেখা দিলে তাদেরকে এভাবে ব্রণ সারানোর উপদেশ দিতে পারবেন।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যা খুঁজছিলেন তা পেয়ে থাকেন। তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন । ধন্যবাদ