কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়
প্রিয় পাঠক, ভাই এবং বোনেরা, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। নতুন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চায়, তাদের মধ্যে অনেকরই মনে অনেক ধরণের প্রশ্ন জাগে। যেমনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে?, এটি কেন করা উচিত,এর জন্য কোন কোন বিষয় জানা প্রয়োজন এবং কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয় ইত্যাদি নানা ধরণের প্রশ্ন মনের মধ্যে থাকে।
তাই আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য তৈরি করতেছি। এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়লে,আমি আশা করি, আপনাদের মনের এই সকল প্রশ্নের সমাধান পাবেন। তাহলে চলুন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে?
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য বা সেবার অফার লিঙ্ক অনলাইনে প্রচার করে বিক্রি করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট একটি কমিশন অর্জন করার প্রক্রিয়াকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
আপনাদের বুঝার সুবিদার জন্য,একটি উদাহরণ যদি দেয়,যেমনঃ মনে করেন, আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে একটি পণ্য নিয়ে সেটি বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে প্রচার করলেন এবং পণ্যটি বিক্রি করে দিলেন। এই পণ্যটি বিক্রি করে দেয়ার ফলে ঐ প্রতিষ্ঠানটি আপনাকে কিছু কমিশন দিল।
অর্থাৎ অন্যের প্রোডাক্ট নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার ফলে আপনি যে কমিশনটি পেলেন এই কমিশনকে অনলাইনের ভাষায় বলা হয় এফিলিয়েট কমিশন আর বিক্রির জন্য পণ্যটি যে প্রচার করলেন এই প্রক্রিয়াকেই অনলাইনের ভাষায় বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। আশা করি,বিষয়টি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা উচিত
আমরা সকলেই জানি বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে অনলাইন থেকে ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা যায়। আর এই অনলাইন ইনকামের অনেক বড় একটি সেক্টর হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। বাংলাদের হাজার হাজার তরুণরা এটির মাধ্যমে প্রতিমাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতেছে। আপনাদের সুবিদার জন্য এর কয়েকটি সুবিদা নিচে তুলে ধরা হলো। যে সুবিদা গুলো জানলে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটি কেন করা উচিত।
- সবচেয়ে বড় সুবিদা হলো,এটির মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়।
- প্যাসিভ ইনকাম করা যায়
- কোন প্রকার শারীরিক শ্রম দিতে হয় না।
- কারো হুকুমে বা কারো অধিনে কাজ করতে হয় না।
- নিজের ইচ্ছামত যে কোন সময় কাজ করা যায় অর্থাৎ এর জন্য কোন ধরা বাঁধা সময় মেনে চলতে হয় না।
- যে কোন ধরণের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করা যায়
- এটি শুরু করার জন্য খুব বেশি টাকার দরকার হয় না
- ওয়েবসাইট বা ইউটিউব ছাড়াও শুধু মাত্র ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যমেও মার্কেটিং করা যায়
- ফ্রি এবং পেইড দুই ভাবেই মার্কেটিং করা যায়
- ভালো ভাবে মার্কেটিং করতে পারলে দিন দিন ইনকাম বাড়তে থাকে
- কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এটি করা যায়
- এটি করার জন্য কোন প্রকার জন বল লাগেনা। অর্থাৎ একা একাও করা যায়
- একটি ফ্রি ব্লগ সাইট খুলেও এটি করা যায়
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সহজেই ফ্রি এবং পেইড ভাবে এটি করা যায়
- এটি করার জন্য খুব বেশি শিক্ষিত হতে হয় না
এছাড়াও আরো অনেক সুবিদা রয়েছে। এই সুবিদা গুলো জেনে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করা উচিত।
কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়
যারা জানতে চান কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়? তাদের উদ্দেশ্যে আমি প্রথমেই যে কথাটি বলবো সেটি হলো, এই প্রশ্নের সঠিক কোন উওর নেই। কারণ বর্তমানে অনলাইনে শত শত এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক রয়েছে। যে গুলোতে শত শত প্রোডাক্ট রয়েছে। তাই এই প্রশ্নের সঠিক উওর দেওয়া সম্বব নয়। তবে আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে নিচে জনপ্রিয় কয়েকটি প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি তুলে ধরা হলোঃ
১। হেলথ ক্যাটাগরিঃ এই ক্যাটাগরির মধ্যে আবার জনপ্রিয় কয়েকটি সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। যেমনঃ ওয়েট লস,মেন্'স হেলথ,ওমেন'স হেলথ,মেন্টাল হেলথ,স্কিন কেয়ার,বিউটি প্রোডাক্ট ইত্যাদি
২। ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরিঃ এই ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে,যেমনঃ মোবাইল,টিভি,ফ্যান,প্রেসার কোঁকার, ক্যামেরা,হেডফোন ইত্যাদি
৩। সফটওয়্যার ক্যাটাগরিরঃ এই ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে,যেমনঃ এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার,গেমিং সফটওয়্যার,গ্রাফিক্স সফটওয়্যার ইত্যাদি
৪। ফ্যাশন ক্যাটাগরিঃ ফ্যাশন ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে, যেমনঃ মেনস ফ্যাশন, ওমেনস ফ্যাশন ইত্যাদি
এছাড়াও আরো অনেক ক্যাটাগরি আছে এবং প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে শত শত প্রোডাক্ট রয়েছে যে প্রডাক্ট গুলো নিয়ে আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আশা করি, আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন কোন বিষয় জানা প্রয়োজন
বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় অনলাইন ইনকামের উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। ইতিপূর্বে আমরা এর সুবিদা গুলো জেনেছি। অনেকেই জানতে চায়, এটি করার জন্য কোন কোন বিষয় জানা প্রয়োজন। তাই আমরা এখন এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। যেহেতু, এটি অনলাইন ইনকামের অনেক বড় একটি মাধ্যম এবং এর মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদি প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। তাই এটি করার জন্য অনেক গুলো বিষয় জানা খুব প্রয়োজন। যেমনঃ
১। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বেসিক বিষয় গুলো জানা প্রয়োজনঃ সর্বপ্রথম এর বেসিক বিষয় গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝতে এবং জানতে হবে। কারণ এর বেসিক বিষয় গুলো না জানলে কখনোই এর মাধ্যমে সফল হওয়া সম্বব নয়।
২। নিস সিলেকশন করা জানতে হবেঃ অনলাইনে যে কোন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নিস সিলেকশন করা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। অনলাইনে কাজ করার জন্য অনেক ধরণের বিষয় বা নিস রয়েছে। আপনি তো সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। তাই আপনি কোন বিষয় সম্পর্কে ভালো জানেন,সেই নিস নিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে। আরো সহজ ভাষায় যদি বলি, নিস গুলোর মধ্যে রয়েছে যেমনঃ হেলথ,টেকনোলজি,অনলাইন আরনিং,ডিজিটাল প্রোডাক্ট,ফ্যাশন ইত্যাদি। এরকম হাজার হাজার ক্যাটাগরি বা নিস আছে। এর মধ্য থেকে সঠিক নিস নির্বাচন করা জানতে হবে এবং নির্বাচন করতে হবে।
সিপিএ মার্কেটিং কি-কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং শুরু করব-বিস্তারিত জানুন
৩। এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানা প্রয়োজনঃ এফিলিয়েট বা সিপিএ মার্কেটিং করার জন্য বর্তমানে অনলাইনে শত শত এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক আছে। এই নেটওয়ার্ক গুলো মধ্যে কোন নেটওয়ার্কে আপনার নিসের ভালো অফার আছে এবং ভালো কমিশন দিবে,সেই নেটওয়ার্ক আপনাকে খুজে বের করতে হবে বা খুজে বের করা শিখতে হবে।
৪। এফিলিয়েট অফার বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে হবেঃ সঠিক নিস এবং সঠিক এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সিলেকশন করার পরের কাজ হচ্ছে সঠিক অফার বা প্রোডাক্ট খুজে বের করা। আপনি যদি সঠিক অফার সিলেকশন করা না জানেন এবং যে কোন আফার নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ভালো ইনকাম করা সম্বব না। তাই আপনাকে অবশ্যই সঠিক আফার বা প্রোডাক্ট সিলেকশন করা জানতে বা শিখতে হবে।
৫। মার্কেটিং পদ্ধতি গুলো খুব ভালো ভাবে শিখতে বা জানতে হবেঃ অফার সিলেকশন করার পর অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং করতে হবে। আপনি যদি সঠিক ভাবে মার্কেটিং না করতে পারেন তাহলে ভালো সেল করতে পারবেন না। আর বেশি বেশি সেল না হলে আপনার ভালো ইনকাম হবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই সঠিক ভাবে অফার গুলো মার্কেটিং করা জানতে হবে। সঠিক ভাবে মার্কেটিং করার জন্য যে বিষয় গুলো জানতে বা শিখতে হবে তা হলোঃ
ফেসবুক মার্কেটিং,টুইটার মার্কেটিং,ইন্সট্রাগ্রাম মার্কেটিং,পিন্টারেস্ট মার্কেটিং,ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কেটিং,ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড মার্কেটিং ইত্যাদি ।
এছাড়াও আরো অনেক সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে। সেগুলো আপনাকে খুব ভালো ভাবে শিখতে বা জানতে হবে।
৬। ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা জানতে হবেঃ এফিলিয়েট বা সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সুন্দর একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। কারণ আপনি যে উপায়েই মার্কেটিং করেন না কেন,সরাসরি অফার লিঙ্ক প্রমোট করা যাবে না। আপনাকে অবশ্যই ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যমে অফার প্রমোট করতে হবে। আর তাই আপনাকে অবশ্যই খুব সুন্দর ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা শিখতে হবে।
৭। মার্কেট অ্যানালাইসিস করা জানতে হবেঃ সিপিএ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো ফলাফল পেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই খুব ভালো ভালে মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে হবে। কোন অফার বা প্রোডাক্ট গুলো কোন সময় কোন দেশে ভালো সেল হচ্ছে সেই বিষয় গুলো আপনাকে অ্যানালাইসিস করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী মার্কেটিং করতে হবে।
৮। প্রতিনিয়ত আপডেট পদ্ধতি গুলো শিখতে হবেঃ আমরা সকলেই জানি, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছু দিন দিন আপডেট হচ্ছে। তাই আপনাকেও প্রতিনিয়ত মার্কেটিং এর নতুন নতুন পদ্ধতি গুলো জানতে হবে।
৯। পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে জানতে হবেঃ যেহেতু আমরা বাংলাদেশি,তাই পেমেন্ট তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের জটিলতায় পড়তে হয়। কারণ সিপিএ বা এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গুলো যেহেতু বিদেশি তাই পেমেন্ট সিস্টেম গুলো অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশের পেমেন্ট সিস্টেমের সাথে মিলে না। তাই আপনাকে এই বিষয় গুলো ভালো ভাবে জানতে হবে।
১০। মার্কেটিং নীতিমালা গুলো জানতে হবেঃ এফিলিয়েট বা সিপিএ মার্কেটিং এর যে নীতিমালা গুলো আছে সেই নীতিমালা গুলো অবশ্যই মেনে সঠিক ভাবে মার্কেটিং করতে হবে। কোন প্রকার স্পাম করা যাবে না।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর/ FAQ
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে কোন কোম্পানি বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য
বা সেবার অফার লিঙ্ক অনলাইনে প্রচার করে বিক্রি করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট
একটি কমিশন অর্জন করার প্রক্রিয়াকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে।
আমি কিভাবে একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারি?
একজন এফিলিয়েট মার্কেটার হওয়ার জন্য, আপনাকে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবেঃ
- আপনাকে একটি সঠিক নিস নির্বাচন করতে হবে
- গবেষণা এবং আপনার নিসের প্রাসঙ্গিক অনুমোদিত প্রোগ্রাম নির্বাচন করুন
- নির্বাচিত অনুমোদিত প্রোগ্রামগুলির জন্য সাইন আপ করুন।
- এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক থেকে অফার লিঙ্ক সংগ্রহ করুন
- বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আমার কি একটি ওয়েবসাইট দরকার?
যদিও একটি ওয়েবসাইট থাকা উপকারী, এটি বাধ্যতামূলক নয়। অ্যাফিলিয়েটরা অ্যাফিলিয়েট পণ্যের প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং বা কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্মের মতো বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করতে পারে।
আমি কিভাবে আমার অনুমোদিত বিক্রয় এবং কমিশন ট্র্যাক করতে পারি?
বেশিরভাগ অধিভুক্ত প্রোগ্রাম একটি ড্যাশবোর্ড প্রদান করে যেখানে আপনি ক্লিক, বিক্রয় এবং কমিশন ট্র্যাক করতে পারেন। উপরন্তু, আপনি আরও বিস্তারিত বিশ্লেষণের জন্য তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেন।
শেষকথা
সম্মানিত পাঠক,ভাই এবং বোনেরা, এই আর্টিকেলটির আলোচনার মূল বিষয় ছিল, কয়টি প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়। আমি চেষ্টা করেছি এই প্রশ্নের পাশা পাশি আরো কয়েকটি কমন প্রশ্নের সঠিক উওর দেওয়ার। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি,আপনারা বিষয় গুলো বুঝতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ