বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম জানেন কি? বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ খুবই লাভজনক। এ পদ্ধতিতে অল্প জায়গাতে মাছ চাষ করা যায়। আজ আমি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। যে সমস্ত বন্ধুরা বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম জানেন না আর্টিকেলটি তাদের বেশ উপকারে আসবে।
আপনি যদি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম জানতে পারেন তাহলে অল্প পুঁজিতে আপনি মাছ চাষ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম।
গলদা চিংড়ি চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন.
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম
আপনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম জানার জন্য যদি আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজ আমি এই আর্টিকেল জুড়ে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে দারুন ভাবে উপকৃত হবেন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আপনি স্বাবলম্বী হতে পারেন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে যে জিনিসগুলো করতে হবে সেগুলো হচ্ছে, পানি ব্যবস্থাপনা ও ফ্লক তৈরি।
যেকোনো মাছ চাষ করার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে পানির উৎস কি হবে, পানির গুনাগুন এবং তা ব্যবহারের উপযোগী কি না সেটা যাচাই করতে হবে। বিভিন্ন ভাবে আপনি পানি সংগ্রহ করতে পারেন যেমন- বৃষ্টির পানি, নদীর পানি, লেকের পানি, টিউবয়েলের পানি ইত্যাদি। তবে পানি যে উৎস থেকে আসুক না কেন খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন ব্যবহার উপযোগী হয়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম জানতে হলে আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।
প্রথমেই পানি তৈরি করতে হবে, পানি তৈরি করার জন্য প্রথমে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে, তারপর পানির গুনাগুন পরীক্ষা করতে হবে। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য পানির কিছু গুণাবলী থাকতে হবে এজন্য পানিকে তৈরি করতে হবে। পানিকে তৈরি করার কিছু পদ্ধতি আমি নিম্নে প্রদান করলাম।
- পানির তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে।
- পানির রং হতে হবে সবুজ, হালকা সবুজ ও বাদামি।
- পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন ৭-৮ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির পিএইচ এর পরিমাণ ৭.৫-৮.৫ হতে হবে।
- পানির ক্ষারত্বের ৫০-১২০ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির খরতার পরিমাণ ৬০-১৫০ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৪-১৬০ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির অ্যামোনিয়ার পরিমাণ ০.০১ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির নাইট্রাইটের পরিমাণ ০.১-০.২ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির নাইট্রেট ০-৩ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির ফসফরাসের পরিমাণ ০.১-৩ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির এইচটুএস পরিমাণ ০.০১ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির আয়রনের পরিমাণ ০.১-০.২ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির স্বচ্ছতা ২৫-৩৫ সেন্টিমিটার থাকতে হবে।
- পানির গভীরতা ৩-৪ ফুট থাকতে হবে।
- ফলকের ঘনত্ব ৩০০ গ্রাম বা টন হতে হবে।
- পানির টিডিএস ১৪,০০০-১৮,০০০ মিলিগ্রাম হতে হবে।
- পানির লবণাক্ততা ৩-৫ পিপিটি থাকতে হবে।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম এর মধ্যে ফ্লক তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিভাবে ফ্লক তৈরি করবেন, পানির ফ্লক তৈরির জন্য যে সমস্ত নিয়ম-কানুন বা পদ্ধতি মানতে হবে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। প্রথম ডজে পাঁচ পিপিএম কোবায়োটি ও ৫০ পিপিএম চিটাগুড় এবং পাঁচ পিপিএম ইস্ট, প্রতি টনের জন্য এক লিটার পানি, একটি প্লাস্টিকের বালতিতে অক্সিজেন প্রয়োগ করে ৮-১০ ঘণ্টা কালচার করে প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় দিন এক পিপিএম প্রবায়োটিক, ৫পিপিএম চিটাগুড় এবং এক পিপিএম ইস্ট প্রতি টনের জন্য ১ লিটার পানি নিয়ে আগের সময় ও নিয়ম মেনে কালচার করে প্রতিদিন প্রয়োগ করতে হবে। এরপরে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে।
- পানির রং সবুজ বা বাদামী হয়ে গেছে।
- পানিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনা দেখা যাবে।
- পানি পরীক্ষা করলে পানিতে এমোনিয়া থাকবে না।
- পানি পরীক্ষা করলে প্রতি লিটার পানিতে ০.৩ ফ্লকের ঘনত্ব পাওয়া যাবে।
- ক্ষুদিপোনা দেওয়ার পরে তাদের বংশবিস্তার করতে দেখা যাবে।
এভাবে নিয়ম মেনে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায়। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম বুজতে পেরেছেন।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ কেনো করবেন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম, জানার আগে আপনার জানা উচিত বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ কেন করবেন? আপনি যদি ছোট পরিসরে মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনি বায়োফ্লক প্রযুক্তির সাহায্যে মাছ চাষ করতে পারেন। আপনি যদি ব্যবসা হিসেবে মাছ চাষ করতে চান এবং আপনার জায়গা কম থাকে তাহলে আপনি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে খরচ কম এবং লাভ বেশি ।
আপনি যদি একজন কৃষক হন এবং চাষের পাশাপাশি কিছু ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনি মাছ চাষ করতে পারেন। চাষের পাশাপাশি মাছ চাষ করে আপনি সহজেই আয় বাড়াতে পারেন। বর্তমানে অনেক তরুণ চাষি মাছ চাষের ব্যবসা করে ভালো মুনাফা অর্জন করছেন।
"এই কৌশলটি শুধু জলই বাঁচায় না, মাছের খাদ্যও বাঁচায়। মাছ যাই খায় না কেন, তা ৭৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করে এবং সেই বর্জ্য জলে ছেড়ে দেওয়া হয়।" মাছ এবং একই বর্জ্য বিশুদ্ধ করার জন্য, বায়ো-ফ্লক ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়া যা এই বর্জ্যকে প্রোটিনে রূপান্তরিত করে, যা মাছ খায়, এইভাবে খাদ্যের ১/৩ সাশ্রয় হয়।"
আরো জানুনঃ সেরা ১০ টি ব্যবসার আইডিয়া। মাসে ১ লাখ টাকা আয়.
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষের খরচ
একজন মাছ চাষী যদি ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার একটি ট্যাঙ্ক তৈরি করেন, তাহলে তা তৈরি করতে খরচ হয় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যা প্রায় ৫ বছর ব্যবহার করা যাবে। একজন মাছ চাষী যদি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেন, তাহলে প্রায় ৬ মাসে তিনি ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল মাছ পান। এভাবে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার সুবিধা
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার অনেক গুলো সুবিদা রয়েছে। যেমনঃ
- শ্রম খরচ, সীমিত স্থান এবং উচ্চ উৎপাদন।
- চার মাসে মাত্র একবার জল ভর্তি হয়।
- যখন ময়লা জমে, তখন মাত্র 10% জল অপসারণ করে পরিষ্কার রাখা যায়।
- অব্যবহৃত স্থান এবং কম জল ব্যবহার।
- কম শ্রম খরচ
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে কোন মাছ পালন করা উচিত?
বায়োফ্লক প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি সহজেই পাঙ্গাসিয়াস, তেলাপিয়া, দেশি মাঙ্গুর, সিংহি, কোই কার্প, পাবদা এবং কমন কার্প ইত্যাদি প্রজাতির মাছ পালন করতে পারেন।
কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করবেন
কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করবেন এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম। আজ আমি আর্টিকেলে কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য যে সমস্ত জিনিসের প্রয়োজন সেগুলো বর্ণনা করা হলো। চৌবাচ্চা বা ট্যাংক বা হাউজ, লোহার খাঁচা, ত্রিপল, আউটলেট, টিডিএস মিটার, পিএইচ মিটার, অ্যামোনিয়াম টেস্ট কিট, অক্সিজেনের জন্য মটর, বিদ্যুৎ, মাছের পোনা, খাদ্য ও প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম, জানতে হবে। তারপর,প্রথমে একটি হাউজ তৈরি করতে হবে। চলুন তাহলে কিভাবে হাউজ তৈরি করবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। আমি এখানে ত্রিপল দিয়ে কিভাবে হাউজ বানাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব, প্রথম গ্রেডের রড দিয়ে বৃত্তাকার একটি খাঁচা তৈরি করতে হবে, যে জায়গাটিতে হাউজ হবে সেখানে খাঁচার মাফ করে মেঝেতে সিসি ঢালাই করে নিতে হবে।
তারপরে খাঁচাটিকে সিসি ঢালাইয়ের উপরে বসিয়ে মেঝেতে গেঁথে দিতে হবে, মেঝের মাটি যদি শক্ত ও সমান হয় তাহলে ঢালাই এর পরিবর্তে মোটা পলিথিন বিছিয়ে মেঝে তৈরি করা যায়। এবার খুব ভালো মানের ত্রিপল দিয়ে খাঁচাটি ঢেকে দিতে হবে এবং মোটা পলিথিন দিয়ে ত্রিপলটিকে ঢেকে দিতে হবে তাহলেই হাউজটি তৈরি হয়ে যাবে। হাউজ তৈরি হওয়ার পরে তাতে পানি মজুদ করতে হবে। আপনার সুবিধার্থে আমি হাউজের মাপ বর্ণনা করলাম ৩০০০ লিটার পানি ধারনের জন্য হাউজের সাইজ হবে ৬ফিট ব্যাস এবং ৪.৫ ফিট উচ্চতা।
৫০০০ লিটারের হাউজের জন্য ৮ফিট ব্যাস এবং ৪.৫ ফিট উচ্চতা, ৭৫০০ লিটারের জন্য ১০ফিট ব্যাস এবং ৪.৫ ফিট উচ্চতা, ১০০০০ লিটারের হাউজের জন্য ১৩ ফিট ব্যাস এবং ৪.৫ ফিট উচ্চতা। আপনার প্রয়োজন অনুসারে হাউজ তৈরি করতে পারবেন। এবার আপনাকে পানির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনি বিভিন্ন উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারেন যেমন-বৃষ্টির পানি, নদীর পানি, লেকের পানি, গভীর নলকূপের পানি ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে পানি ব্যবহার করবেন তা যাতে ব্যবহারের উপযোগী হয়।
এবং পানির অন্যান্য উপাদান যাতে সঠিক মাত্রায় থাকে সেগুলা পরীক্ষা করতে হবে। এরপরে আপনাকে ফ্লক তৈরি করতে হবে। পানির সমস্ত উপাদান যদি ঠিক থাকে এবং ফ্লক তৈরি হয়ে গেলে তা নিয়ম অনুসারে প্রতিদিন পানিতে প্রয়োগ হয়ে থাকে, তাহলে দেখা যাবে পানির রং সবুজ বা বাদামী হয়ে গেছে পানিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দেখা যাবে, পানিতে এমোনিয়া থাকবে না, পানি পরীক্ষা করলে দেখা যাবে এক লিটার পানিতে ০.৩ ফ্লকের ঘনত্ব পাওয়া যাবে এবং পানিতে ক্ষুদিপোনা দেওয়ার পরে তা বংশবিস্তার শুরু করবে। তাহলে আপনি বুজতে পেরেছেন যে, কিভাবে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করবেন।
বায়োফ্লক পদ্ধতি কি
আরো জানুনঃ দারাজ কিভাবে ব্যবসা করে - দারাজ কিভাবে কাজ করে
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ফ্লক তৈরি করার কৌশল
যেহেতু এই আর্টিকেলটিতে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার নিয়ম, নিয়ে আলোচনা করতেছি তাই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ফ্লক তৈরি করার কৌশল নিয়ে আমি আজ এ আর্টিকেলটি লিখব। আপনি যদি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ফ্লক তৈরি করার কৌশল না জানেন তাহলে আপনি আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন। প্রথম ডজে ৫ পিপিএম কোবায়োটি ও ৫০ পিপিএম চিটাগুড় এবং পাঁচ পিপিএম ইস্ট, প্রতি টনের জন্য এক লিটার পানি, একটি প্লাস্টিকের বালতিতে অক্সিজেন প্রয়োগ করে ৮-১০ ঘণ্টা কালচার করে প্রয়োগ করতে হবে।
দ্বিতীয় দিন ১ পিপিএম প্রবায়োটিক, ৫পিপিএম চিটাগুড় এবং ১ পিপিএম ইস্ট প্রতি টনের জন্য ১ লিটার পানি নিয়ে আগের সময় ও নিয়ম মেনে কালচার করে প্রতিদিন প্রয়োগ করতে হবে। এখানে আমি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ফ্লক তৈরি করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
বায়োফ্লক পদ্ধতি কি?
যে ব্যাকটেরিয়া ও শৈবাল তৈরি হয় তা পানিতে উৎপন্ন হওয়া নাইট্রোজেন গঠিত জৈব বর্জ্যকে খাবার হিসেবে ব্যবহার করে অ্যামোনিয়া গ্যাস হতে দেয় না এবং নিজেদের বংশ বাড়াই একেই বায়োফ্লক পদ্ধতি বলে।
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষের খরচ কেমন?
একজন মাছ চাষী যদি ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার একটি ট্যাঙ্ক তৈরি করেন, তাহলে তা তৈরি করতে খরচ হয় ৩২ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যা প্রায় ৫ বছর ব্যবহার করা যাবে। একজন মাছ চাষী যদি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে মাছ চাষ শুরু করেন, তাহলে প্রায় ৬ মাসে তিনি ৩ থেকে ৪ কুইন্টাল মাছ পান। এভাবে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায়।
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার সুবিধা গুলো কি কি?
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার অনেক গুলো সুবিদা রয়েছে। যেমনঃ
- শ্রম খরচ, সীমিত স্থান এবং উচ্চ উৎপাদন। চার মাসে মাত্র একবার জল ভর্তি হয়।
- যখন ময়লা জমে, তখন মাত্র 10% জল অপসারণ করে পরিষ্কার রাখা যায়।
- অব্যবহৃত স্থান এবং কম জল ব্যবহার।
- কম শ্রম খরচ
বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে কোন মাছ চাষ করা যায়?
বায়োফ্লক প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি সহজেই পাঙ্গাসিয়াস, তেলাপিয়া, দেশি মাঙ্গুর, সিংহি, কোই কার্প, পাবদা এবং কমন কার্প ইত্যাদি প্রজাতির মাছ পালন করতে পারেন।