ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? এই সম্পর্কে জানা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এডিস মশার কামড়ায় যেহেতু ডেঙ্গু রোগ হয় তাই ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়। কারণ এই সময় বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশার জন্ম হয় বেশি। আর আমরা জানি যে এডিস মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এই জোরে আক্রান্ত ব্যক্তি একদিকে যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেস শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন ধরে। তবে ডেঙ্গু রোগ কোন প্রাণঘাতী রোগ নয়।
ডেঙ্গু রোগের উৎপত্তি সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এটি মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহিত মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর এর মূল কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত মশার কামড় অর্থাৎ এডিস মশার কামড়।
ফুসফুসে পানি জমলে কি খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন.
ডেঙ্গু জ্বর কখন এবং কাদের বেশি হয়
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? আমরা অনেকেই এ বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। ডেঙ্গু জ্বর কখন এবং কাদের বেশি হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে দেখা যায়। সাধারণত এই সময়টুকুতে এর প্রকোপ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
শীতকালে ডেঙ্গু জ্বর দেখা যায় না। কারণ এই সময় ডেঙ্গু ভাইরাস জনিত মশাগুলো থাকে না। বর্ষাকালের শুরুতেই সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করতে থাকে। সাধারণত শহর অঞ্চলে যেখানে ময়লা আবর্জনা বেশি থাকে সে সকল অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কম হয়।
বাড়ির আশেপাশে যদি অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকে অথবা পচা পানি থাকে তাহলে সেখানে খুব সহজেই ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত মশা জন্ম নিতে পারে। সাধারণত যাদের বাড়ির আশেপাশে পচা পানি থাকে তাদের ডেঙ্গু জ্বর বেশি হয়। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের অবশ্যই বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে কখনোই ডেঙ্গু মশার জন্ম নিতে না পারে।
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি?
ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর ৪-৭ দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি ডেঙ্গু মশা কামড় দেয় তাহলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাই। ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? অবশ্যই ডেঙ্গু মশার কামড় খাওয়ার পর এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরী। ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
নবজাতক শিশুর পেটে ব্যথা হলে করণীয় গুলো জেনে নিন
১। ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উচ্চ জ্বর। এটা হঠাৎ ঘটতে পারে।
২। বমি বমি ভাব এবং বমি
৩। শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি।
৪। শরীরে ব্যথা, হাড়, জয়েন্টে ব্যথা।
৫। নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত। এটি বেশিরভাগই হালকা।
৬। ত্বকে সহজে ক্ষত। কখনও কখনও, ত্বকের নীচে সূক্ষ্ম পাত্রগুলি ক্ষতের মতো দেখা দেয়। এটি কোনো আঘাত ছাড়াই ঘটতে পারে।
৭। প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা হওয়া।
৮। গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
৯। অতিরিক্ত ক্লান্তি
১০। অনেক সময় চোখের মণির পিছনে ব্যথা।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ
আমরা ইতিমধ্যেই ডেঙ্গু জ্বরের অনেকগুলো কারণ এবং লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগের অন্যতম লক্ষণ হল জ্বর। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বর শরীরে একটানা থাকতে পারে। আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবার জ্বর আসতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের আর অন্যতম একটি লক্ষণ হল শরীর প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হওয়া। শরীর ব্যথা হওয়ার সাথে সাথে মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা হওয়া এর সাথে অবশ্যই চামড়া লালচে হয়ে যাওয়া এ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।
শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীর ম্যাচ ম্যাচ করা সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ডেঙ্গু জ্বরের আরো একটি ধরণের মধ্যে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে পেটব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া সহ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কখন ডাক্তার দেখানো উচিত
ডেঙ্গু জ্বরের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গু জ্বর নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। উপরের উপসর্গগুলো যদি দেখা যায় তাহলে সাধারণ চিকিৎসায় যথেষ্ট। তবে অনেক সময় এমন কিছু লক্ষণ দেখা যায় যার কারণে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- যদি শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
- যদি শ্বাসকষ্ট দেখা যায় অথবা পেট ফুলে পানি আসে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
- প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- শরীরে জন্ডিস দেখা দিলে
- প্রচন্ড পরিমাণে পেট ব্যথা এবং বমি হতে পারে।
- যদি প্রসাবের পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়?
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত বর্ষাকালে বেশি দেখা যায়। কারণ এই সময় বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশার জন্ম হয় বেশি। আর আমরা জানি যে এডিস মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এই জোরে আক্রান্ত ব্যক্তি একদিকে যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেস শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন ধরে। তবে ডেঙ্গু রোগ কোন প্রাণঘাতী রোগ নয়।
ডেঙ্গু জ্বর কখন বেশি হয়?
ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ করে গরম এবং বর্ষার সময়ে দেখা যায়। সাধারণত এই সময়টুকুতে এর প্রকোপ অনেক বেশি হয়ে থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর কাদের বেশি হয়?
বর্ষাকালের শুরুতেই সেগুলো থেকে নতুন করে ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত মশা বিস্তার লাভ করতে থাকে। সাধারণত শহর অঞ্চলে যেখানে ময়লা আবর্জনা বেশি থাকে সে সকল অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কম হয়।
ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে জেনে নিন.
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো কি কি?
ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলো হলোঃ
১। ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উচ্চ জ্বর। এটা হঠাৎ ঘটতে পারে।
২। বমি বমি ভাব এবং বমি
৩। শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি।
৪। শরীরে ব্যথা, হাড়, জয়েন্টে ব্যথা।
৫। নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাত। এটি বেশিরভাগই হালকা।
৬। ত্বকে সহজে ক্ষত। কখনও কখনও, ত্বকের নীচে সূক্ষ্ম পাত্রগুলি ক্ষতের মতো দেখা দেয়। এটি কোনো আঘাত ছাড়াই ঘটতে পারে।
৭। প্রচন্ড পরিমাণে মাথা ব্যথা হওয়া।
৮। গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
৯। অতিরিক্ত ক্লান্তি
১০। অনেক সময় চোখের মণির পিছনে ব্যথা।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?
- যদি শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
- যদি শ্বাসকষ্ট দেখা যায় অথবা পেট ফুলে পানি আসে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
- প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- শরীরে জন্ডিস দেখা দিলে
- প্রচন্ড পরিমাণে পেট ব্যথা এবং বমি হতে পারে।
- যদি প্রসাবের পরিমাণ কমে যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
শেষ কথা
ডেঙ্গু জ্বর কেন হয়? ডেঙ্গু জ্বর কখন এবং কাজের বেশি হয়? ডেঙ্গু রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর কারণ কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণসমূহ, ডেঙ্গু জ্বর হলে কখন ডাক্তার দেখানো উচিত? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভুক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া উচিত।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।