আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ
প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনারা যারা আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে জানতে চান,আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। এই আর্টিকেলটিতে আমি আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ
মরিচ একটি মসলা জাতীয় অর্থকরী ফসল। মরিচ আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই বানিজ্যিক ভাবে চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে না জানার কারনে খুব বেশি লাভবান হতে পারেন না। তাই আমি এই আর্টিকেলটিতে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মরিচ একটি মসলা জাতীয় ফসল হিসাবে চাষ করা হয়। মরিচ টাটকা, শুকনো এবং গুঁড়া এই তিন প্রকারেই ব্যবহৃত হয়।
সব ধরনের সবজির মধ্যে মরিচের গুরুত্ব অনেক, কারণ মরিচ ছাড়্রা কোন তরকারিই রান্না করা সম্বব না।মরিচের মধ্যে ক্যাপসাইসিন রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা এর স্বাদকে মশলাদার করে তোলে। এটি আমাদের খাবারের স্বাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মরিচের মধ্যে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্যের দিক থেকে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।বিজ্ঞানসম্মতভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে উচ্চ ফলন পাওয়া যায়।
মরিচ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি, জলবায়ু ও তাপমাত্রা
আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই প্রায় সারা বছর আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ হয়ে থাকে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ কালো দোআঁশ মাটি প্রয়োজন। আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের জন্য উপযুক্ত নিষ্কাশন সহ জমি থাকা প্রয়োজন, কারণ জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে এর গাছগুলি অনেক রোগে আক্রান্ত হয়, যার কারণে ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে জমির পি.এইচ. মান 5.5 থেকে 7 এর মধ্যে হওয়া উচিত। যে কোনো আবহাওয়ায় মরিচ চাষ করা যায়, তবে আর্দ্র শুষ্ক জলবায়ু চাষের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। প্রচন্ড তাপ ও ঠান্ডা আবহাওয়া এর ফসলের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া শীতকালে তুষারপাত মরিচের জন্যও ক্ষতিকর।
প্রাথমিকভাবে মরিচ গাছের অঙ্কুরোদগমের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রয়োজন। এর গাছপালা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো জন্মে। মরিচ গাছ গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি এবং শীতকালে সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, এর চেয়ে বেশি বা কম তাপমাত্রা ফসলের বৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর।
মরিচের সঠিক জাত নির্বাচন
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মরিচের সঠিক জাত নির্বাচন খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আমাদের দেশে বর্তমানে দেশি ও হাইব্রিড প্রজাতির অনেক উন্নত জাতের মরিচ পাওয়া যাচ্ছে। যা জলবায়ু ও উচ্চ ফলন অনুযায়ী চাষ করা হচ্ছে। উন্নত জাতের মরিচের জাতের মধ্যে রয়েছে -বারি মরিচ ১,বারি মরিচ ২,বিজলি,বিজলি প্লাস,নাগা ফায়ার,বিন্দু মরিচ ইত্যাদি অনেক ভালো মানের জাতের মধ্য থেকে যে কোন একটি জাত নির্বাচন করা যেতে পারে।
মরিচের চারা তৈরির পদ্ধতি
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতিতে মরিচের চারা তৈরি খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে যে বিষয়টা সব চেয়ে বেশি খেয়াল রাখা জরুরি সেটি হচ্ছে মরিচের চারা যেন ১০০ ভাগ সুস্থ হয়। মরিচ চাষের জন্য এমন জায়গায় নার্সারি বেছে নিন যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকে। এর সাথে মাটি থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ১ মিটার চওড়া ও ২০ সেন্টিমিটার লম্বা বেড তৈরি করুন। এতে গোবর বা কম্পোস্ট যোগ করুন।
এরপর কার্বেন্ডাজিম ২ গ্রাম ওষুধ প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বেডের মাটি শোধন করতে হবে। অথবা প্রতি
বর্গমিটারে ৭৫০ গ্রাম ডিএপি এবং ২৫০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি ১৫০ কেজি
সঠিকভাবে পচানো গোবর সার মাটিতে মিশিয়ে দিন যাতে মাটির গঠনের পাশাপাশি
গাছের বৃদ্ধিও ভাল হয় এবং মাটির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করা যায়।
ছত্রাকজনিত রোগ।
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের জমি তৈরি
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের জন্য জমি খুব ভালো ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। মরিচের ভালো ফলনের জন্য ক্ষেতকে ভালোভাবে চাষ করে সঠিক পরিমাণে সার দিতে হবে। এ জন্য ক্ষেত ভালোভাবে ও গভীরভাবে চাষ করতে হবে। যার কারণে মাঠের পুরোনো ধ্বংসাবশেষ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর এভাবে কয়েকদিন মাঠ খোলা রেখে দিন। যার কারণে মাঠের মাটি পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক পাবে।
এর পরে, প্রতি হেক্টর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ কার্টলোড পুরানো গোবর সার দিয়ে জমিতে লাঙ্গল দিন। এতে গোবর সার জমির মাটিতে ভালোভাবে মিশে যাবে। আপনি চাইলে গোবরের পরিবর্তে কম্পোস্ট কম্পোস্টও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে চাইলে ১৪০ কেজি নাইট্রোজেন, ৬০ কেজি ফসফরাস এবং ৮০ কেজি পটাশ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই রাসায়নিক সার শেষ চাষের সময় জমিতে দেওয়া হয়। মাটিতে ভালোভাবে সার মেশানোর পর তাতে পানি দিতে হবে।
পানি দেওয়ার পর ক্ষেতকে এভাবে ছেড়ে দিন, এরপর যখন মাঠের মাটি উপরের দিকে শুকিয়ে যেতে শুরু করবে, তখন রোটাভেটর প্রয়োগ করে দুই থেকে তিনটি তির্যক লাঙল করতে হবে। এতে করে মাঠের মাটি খসে পড়বে। এরপর ক্ষেতে মুচি রেখে ক্ষেত সমতল করুন, যাতে জমিতে জলাবদ্ধতার সমস্যা না হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচের চারা রোপণের সঠিক সময় ও পদ্ধতি
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেতে হলে এবং লাভবান হতে হলে মরিচের চারা সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে রোপণ করা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। উচু ও সমতল উভয় স্থানেই মরিচের চারা রোপণ করা হয়। প্রতিটি গাছের মধ্যে দেড় থেকে দুই ফুট দূরত্ব রেখে চারা রোপণ করতে হবে। সমতল জমিতে গাছ লাগানোর জন্য ১০ ফুট লম্বা বেড তৈরি করতে হবে। এসব বেডে আড়াই ফুট দূরত্ব রেখে গাছ লাগাতে হবে, যাতে গাছগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর্যাপ্ত জায়গা পায়।
সন্ধ্যায় মরিচের চারা রোপণ করা আরও উপকারী বলে মনে করা হয়, কারণ এই সময়ে রোপণ করলে গাছগুলি ভালভাবে অঙ্কুরিত হয় এবং ভাল ফলনও দেয়। মরিচের চারা রোপণের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, তাই শীত মৌসুমে এর রোপণ অক্টোবর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি করতে হয়, যেখানে গ্রীষ্মের মৌসুমে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসকে চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের সেচ ব্যবস্থাপনা
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে ভালো সেচ ব্যবস্থাপনাও খুব জরুরি। মরিচ গাছের বেশি সেচের প্রয়োজন হয় কারণ এর গাছের অঙ্কুরোদগমের সময় জমিতে আর্দ্রতা প্রয়োজন। রোপনের পরপরই মরিচ গাছে প্রথম সেচ দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে, মরিচ গাছে সপ্তাহে দুই থেকে তিনটি সেচের প্রয়োজন হয়। এছাড়া শীত মৌসুমে প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর সেচের প্রয়োজন হয়। বর্ষাকালে প্রয়োজন হলেই মরিচ গাছে সেচ দিতে হবে।
মরিচ ক্ষেতে আগাছা নিয়ন্ত্রণ
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে আগাছা নিয়ন্ত্রন করা বা নিড়ানি দেয়া। সঠিক সময়ে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে গাছের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং ফলনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মরিচ ক্ষেতে প্রথম আগাছা ২০ দিন পর করতে হয় এবং অবশিষ্ট আগাছা ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে করতে হয়। আপনি আগাছা নিয়ন্ত্রণের জন্য রাসায়নিক পদ্ধতিও ব্যবহার করতে পারেন, এর জন্য আপনাকে যথাযথ পরিমাণে অক্সিফ্লুরফেন স্প্রে করতে হবে।
মরিচ গাছের রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রন
আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেতে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমন। আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করার ক্ষেত্রে যদি সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রন না করা যায় তাহলে মরিচ গাছের ফলন অনেকাংশে কমে যায়। ফলে কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হয়। তাই আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রন করা খুব জরুরি।
মরিচ গাছেও অনেক ধরনের রোগ দেখা যায়। এসব রোগ গাছে আক্রমণ করে ধ্বংস করে, ফলে ফলনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুরুতেই মরিচ গাছে পচন রোগ দেখা যায়। এই রোগটি ভূমি পৃষ্ঠের সামান্য উপরে গাছে দেখা যায়। এ রোগের কারণে গাছের কান্ড কালো হয়ে যায়। এরপর গাছের কান্ড পচে নষ্ট হয়ে যায়। এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য, চারা রোপণের আগে থিরাম বা ক্যাপ্টান বা কারবন্ডাজিম গ্রোপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে গাছের গোড়ায় অথবা পুরো গাছে শেষ বিকেলে স্প্রে করতে হবে।
এ ছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করার ক্ষেত্রে মরিচ গাছে অনেক ধরনের রোগ দেখা যায়, যেমন- সাদা মাছির আক্রমন,লাল মাকড়ের আক্রমণ, মোজাইক, নিমাটোড ইত্যাদি। এ সকল চোষক পোকা দমনের জন্য সাধারণত ইমিটাক্লোরোপিড গ্রোপের কীটনাশক প্রতিলিটার পানিতে ১ মিলি হারে শেষ বিকেলে স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত সিডিউল মত স্প্রে করলে আশা করা যায় মরিচ গাছ সুস্থ থাকবে এবং অনেক ভালো ফলন দিবে।
মরিচ সংগ্রহ করা
উন্নত জাতের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সময়ে মরিচ কাটা হয়। অনেক জাতের মরিচ প্রায় ৫০ দিনের মধ্যে ফলনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়, প্রথম ফসল তোলার পর বাকি সমস্ত ফসল কাটা ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে করা উচিত। কিন্তু লাল মরিচ পেতে হলে এর ফল ১২০ থেকে ১৩০ দিন পর ছিঁড়ে নিতে হবে। এরপর এই লাল মরিচগুলো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এই শুকনো মরিচগুলি সংরক্ষণ করা হয় এবং চাপ দেওয়া হয়, যার কারণে তারা আরও মশলাদার হয়।
এরপর সেগুলো বিক্রির জন্য বাজারে পাঠানো হয়। জাতের উপর নির্ভর করে, এক একর জমিতে ৩৫ থেকে ৫০ কুইন্টাল দেশীয় প্রজাতির ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া হাইব্রিড জাতের থেকে ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। মরিচের বাজার মূল্য জাত ভেদে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ৪০ টাকা। কৃষকরা যেভাবে এক একর জমিতে মরিচের একটি ফসল থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে, সেভাবে হাইব্রিড জাত চাষ করে সহজেই ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় করতে পারে।
কিছু প্রশ্ন ও উওর
মরিচ কোন মাসে চাষ করা হয়?
মরিচ সাধারণত সারা বছর চাষ করা যায়। তবে ভালো ফলন ও ভালো লাভ পেতে হলে জুন-অক্টোবর মাসে এবং সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এবং ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে রোপণ করা হয়।
মরিচের সেরা জাত কোনটি?
আমাদের দেশে মরিচের অনেক গুলো সেরা জাত রয়েছে যেমনঃ বারি মরিচ ১, বারি মরিচ ২, বিন্দু ম্রিচ,বিজলি,বিজলি প্লাস,নাগা ফায়ার ইত্যাদি
মরিচের বীজ থেকে চারা গজাতে কত দিনে সময় লাগে?
সবুজ মরিচের বীজ অঙ্কুরিত হতে প্রায় ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগতে পারে।
শেষকথা
প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনেরা আমি এই আর্টিকেলটিতে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনাদের কে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি সঠিক ভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্বব। যাইহোক,এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে এবং আপাদের উপকার হয় তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ