নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়। নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক?
আপনি কি জানতে চান নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেলটিতে নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি নভেম্বর মাসে সবজি চাষ করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ণ।
আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ কৃষক সবজি চাষের সাথে জরিত। কিন্তু তারা অনেকেই জানেনা কোন মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায় বা কোন মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক। তাই আমার এই ব্লগ সাইটটিতে প্রতিনিয়ত আপনাদেরকে এই বিষয় গুলো বিস্তারিত জানাবো। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আর্টিকেলটিতে নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়
আমরা
সকলেই জানি নভেম্বর মাসে সাধারণত শীত কালীন সবজি গুলো চাষ করা হয়ে থাকে।
আপনারা যারা শীতকালীন সবজি চাষ করতে চান তারা চাইলে নভেম্বর মাসে সবজি চাষ
করতে পারেন। আপনারা যারা নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় তা জানতে চান তাদের সুবিদার জন্য নিচে সবজি গুলোর তালিকা দেয়া হলো। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়ঃ
১। ক্যাপসিকাম চাষঃ আপনারা যারা জানতে চান নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে নভেম্বর মাসে ক্যাপসিকাম চারা রোপণ করতে পারেন। ক্যাপসিকাম বিদেশি সবজি হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে এর ব্যপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। আমাদের দেশের হাজার হাজার কৃষক বর্তমানে বানিজ্যিকভাবে এই ক্যাপসিকাম চাষ করে থাকে। ক্যাপসিকাম এর দাম ৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর আমাদের দেশে এই ক্যাপসিকাম চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস।
২। ফুল কপি চাষঃ আমাদের দেশে যত গুলো শীতকালীন সবজি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সবজি হচ্ছে ফুলকপি। আর এই ফুলকপি চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস। নভেম্বর মাসে ফুলকপি চাষ করলে এর ফলন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। নভেম্বর মাসে ফুলকপি চাষ করলে একজন কৃষক এক বিঘা জমি থেকে অনায়াসে তিন মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারে। অন্যান্য সবজি চাষের চেয়ে নভেম্বর মাসে ফুলকপি চাষ করা অনেক সহজ। তাই আপনারা যারা জানতে চান,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে ফুলকপি চাষ করতে পারেন।
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা জেনে নিন
৩। বাঁধা কপি চাষঃ আমাদের দেশে শীতকালীন সবজি গুলোর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে বাধাকপি। এই নভেম্বর মাসে বাধাকপি চাষ করা যায়। নভেম্বর মাসে বাধাকপি চাষ করলে বাজার দর অনেক ভালো পাওয়া যায় এবং বাধাকপির ফলন অনেক ভালো হয়। নভেম্বর মাসে বাধাকপি চাষ করলে একজন কৃষক এক বিঘা জমি থাকে অনায়াসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারে।
৪। ব্রকলি চাষঃ
আমরা সকলেই জানি ব্রকলি একটি বিদেশি সবজি। ব্রকলি বিদেশি সবজি হলেও
বর্তমানে আমাদের দেশে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে শহর গুলোতে
বাধাকপি বা ফুলকপির চেয়েও এই ব্রকলি বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। ব্রকলিতে
বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি গুণ রয়েছে। ব্রকলি ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবেও খাওয়া
হয়ে থাকে। ব্রকলি চাষ করার ক্ষেত্রে অন্যান্য সবজির তুলনায় রোগ ও
পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম হয়। তাই আমাদের ব্রকলি একটি উচ্চ মুল্যের সবজি
হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন কৃষক একবিঘা জমিতে ব্রকলি চাষ করলে তিন মাসে
অনায়াসে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ করতে পারে। তাই যারা জানতে চান,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে ব্রকলি চাষ করতে পারেন।
৫। স্কোয়াস চাষঃ আমাদের দেশে বর্তমানে যতগুলো উচ্চ মুল্যের সবজি বানিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে তার মধ্যে স্কোয়াস অন্যতম। অন্যান্য সবজি চাষের তুলনায় স্কোয়াস চাষ অনেকটা সহজ এবং লাভজনক একটি ফসল। তাই শীতকালে আমাদের দেশে এর চাষ দিন দিন বাড়তেছে। স্কোয়াস একটি বিদেশি সবজি হওয়া সত্যেও আমাদের দেশে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে । তাই যারা ভাবতেছে নবেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায় তারা চাইলে বানিজ্যিকভাবে স্কোয়াস চাষ করতে পারেন। কারণ নভেম্বর মাসে স্কোয়াস চাষ করলে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়।
৬। ওলকপি চাষঃ আমরা সকলেই ওলকপি সম্পর্কে কম বেশি জানি। ওলকপি একটি শীতকালীন সবজি। অন্যান্য শীতকালীন সবজির মত ওলকপিও একটি চাহিদা সম্পূর্ণ শীতকালীন সবজি। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে ওলকপি চাষ করতে পারেন। আপনারা চাইলে নভেম্বর মাসে ওলকপি বানিজ্যিক ভাবে বা বাসার ছাদে টবেও চাষ করতে পারেন। নভেম্বর মাসে ওলকপির ফলন খুব ভালো হয়।
৭। মরিচ চাষঃ আমাদের দেশে খুব জনপ্রিয় একটি মসলা জাতীয় সবজি হচ্ছে মরিচ। আমরা সকলেই জানি মরিচ ছাড়া কোন তরকারি রান্না করা সম্বব নয়। এমনকি সালাতেও মরিচ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মরিচ আমাদের দেশের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অর্থকরী ফসল। মরিচ আমাদের দেশে সারা বছর চাষ হয়ে থাকে । আমাদের দেশের হাজার হাজার কৃষক বানিজ্যিক ভাবে মরিচ চাষ করে তাদের জীবিকা নিরবাহ করে থাকে। তাই যারা চিন্তা করতেছেন নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে মরিচ চাষ করতে পারেন। এই সময় মরিচ চাষ করলে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায় এবং বাজার দর ভালো পাওয়া যায়।
৮। বেগুন চাষঃ বেগুন সম্পর্কে আমরা বা আপনারা সকলেই কম বেশি জানি। বেগুন আমাদের দেশের অনেক জনপ্রীয় এবং খুব লাভজনক একটি সবজি ফসল। আমাদের দেশের হাজার হাজার কৃষক বানিজ্যিকভাবে বেগুন চাষ করে থাকে। বেগুন আমাদের দেশে গ্রীস্মকালে এবং শীতকালে এই দুই সময়ই চাষ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে বেগুনের অনেক ভালো দাম থাকে। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে বেগুন চাষ করতে পারেন। কারণ এই সময় সকলেই শীতকালীন সবজি বেশি চাষ করে থাকে। তাই আপনি যদি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে নভেম্বর মাসে বেগুন চাষ করতে পারেন তাহলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্বব।
৯। শীতকালীন টমেটো চাষঃ আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত এবং খুব জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে টমেটো। আমাদের দেশে বর্তমানে গ্রীস্মকালে এবং শীতকালে বানিজ্যিকভাবে টমেটো চাষ হয়ে থাকে। তবে গ্রীস্মকালের তুলনায় শীতকালে টমেটো অনেক বেশি ফলন পাওয়া যায়। তাই যারা চিন্তা করতেছেন,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে টমেটো চাষ করতে পারেন। কারণ এই সময় টমেটোর ফলন অনেক ভালো হয় । একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে উন্নত প্রযুক্তিতে টমেটো চাষ করে ৮০ থেকে ১০০০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারে।
১০। মুলা চাষঃ আমাদের দেশে যতগুলো শীতকালীন সবজি আছে তার মধ্যে মুলা অন্যতম। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুলা বানিজ্যিক ভাবে চাষ হয়ে থাকে। নভেম্বর মাসে মুলা চাষ করলে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায় এবং অনেক ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই যারা ভাবতেছে,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে নভেম্বর মাসে বানিজ্যিক ভাবে মুলা চাষ করতে পারেন। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে মুলা চাষ করে ২ থেকে ৩ মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করতে পারে। তাই নভেম্বর মাসে মুলা চাষ করা খুব লাভজনক।
১১। গাজর চাষঃ গাজর আমরা সকলেই চিনি। গাজর তরকারিতে সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং সালাত হিসেবেও এর ব্যপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। গাজর সাধারণত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা জানতে চান, নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে নভেম্বর মাসে বানিজ্যিক ভাবে গাজর চাষ করতে পারেন।
১২। বাটি শাক চাষঃ শীতকালে যত গুলো শাক চাষ হয়ে থাকে তার মধ্যে উচ্চ মুল্যের একটি শাক হচ্ছে বাটি শাক। আপনারা চাইলে নভেম্বর মাসে এই বাটি শাক চাষ করতে পারেন।
১৩। লাল শাক চাষঃ আমরা সকলেই লাল শাকের সাথে পরিচিত। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই লাল শাক বানিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে। নভেম্বর মাসে লাল শাক চাষ করার উপযুক্ত সময়।
১৪। মটর শুটি চাষঃ শীতকালীন খুব জনপ্রীয় একটি সবজি হচ্ছে মটর শুটি । নভেম্বর মাসে মটর শুটি চাষের উপযুক্ত সময়। তাই আপনারা চাইলে নভেম্বর মাসে মটর শুটি চাষ করতে পারেন।
১৫। পেঁয়াজ চাষঃ পেঁয়াজ চেনেনা এমন লোক নেই বললেই চলে। আমরা সকলেই জানি শীতকালে এই পেঁয়াজ চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে পেঁয়াজের চাহিদা অপরিসীম। আমাদের দেশে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ার কারণে কিছু কিছু সময় ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। আবার কিছু কিছু সময় আমাদের দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিলে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ সময় ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। তাই যারা জানতে চান, নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা চাইলে কোন চিন্তা ছাড়ায় নভেম্বর মাসে বানিজ্যিক ভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে পারেন।
১৬। রসুন চাষঃ আমাদের দেশে রসুন খুব জনপ্রীয় এবং খুব লাভজনক একটি ফসল। এটি সাধারণত শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। নভেম্বর মাস রসুন চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। তাই আপনি চাইলে নভেম্বর মাসে রসুন চাষ করতে পারেন।
১৭। ধনিয়া শাক চাষঃ ধনিয়া শাক আমরা সকলেই কম বেশি চিনি। ধনিয়া শাক আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটি শীত কালীন শাক। শীতকালে আমাদের দেশে যত গুলো শাক চাষ হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ধনিয়া শাক। এই ধনিয়া শাক চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস।
১৮। পালং শাক চাষঃ আমাদের দেশের শীতকালীন যত গুলো শাক চাষ হয় তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় শাক হচ্ছে পালং শাক। আর এই পালং শাক চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস। তাই আপনি যদি বানিজ্যিক ভাবে পালং শাক চাষ করতে চান তাহলে নভেম্বর মাসে চাষ করতে পারেন।
১৯। লাউ চাষঃ লাউ চেনেনা এমন মানুষ পাওয়া যাবেনা। আমাদের দেশের অতি পরিচিত এবং অর্থকরী একটি সবজি ফসল হচ্ছে লাউ। বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বানিজ্যিক ভাবে লাউ চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের হাজার হাজার কৃষক আছে যারা এই লাউ বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে তাদের জীবিকা নিরবাহ করে থাকে। লাউ চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস।
২০। সিম চাষঃ শীতকালীন সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সবজি হলো সিম। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় সিমের বানিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। সিম চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস। তাই আপনি চাইলে নভেম্বর মাসে সিম চাষ করতে পারেন।
২১। পেঁপে চাষঃ পেঁপে আমাদের দেশের অর্থকরী ফসল গুলোর মধ্যে অন্যতম। পেঁপে কাচা অবস্থায় সবজি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে পেঁপের অনেক বড় একটা বাজার চাহিদা রয়েছে। এই পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস। যদিও সারা বছর পেঁপে চাষ করা যায়। তবে নভেম্বর মাসে পেঁপে চাষ করলে বাজার ভালো পাওয়া যায়। তাই যারা চিন্তা করতেছে,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন
সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? তারা বানিজ্যিক ভাবে এই পেঁপে চাষ করতে পারেন।
২২। আলু চাষঃ আমাদের দেশে আলু চেনেনা এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আলু একটি জনপ্রীয় এবং অনেক চাহিদা সম্পূর্ণ একটি ফসল। আমাদের দেশে আলুর অনেক ভালো একটা বাজার চাহিদা রয়েছে। আলু আমাদের দেশে সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। তবে আলু চাষের উপযুক্ত সময় হলো নভেম্বর মাস। দেশের বিভিন্ন জায়গায় আলুর বানিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন
সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? তারা চাইলে আলু চাষ করতে পারেন।
২৩। শীতকালীন শসা চাষঃ বর্তমানে আমাদের দেশে শীতকালীন শসার একটি ভালো বাজার চাহিদা তৈরি হয়েছে। দেশের কিছু কিছু জায়গায় মালচিং পদ্ধোতিতে শীতকালীন শসা বানিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে। সাধারণত শীতকালে শসা বাজারে পাওয়া যায় না তাই এর দাম অনেক বেশি থাকে। সাধারণত শসা আমাদের দেশে সারা বছর চাষ হয়ে থাকে । তবে যারা শীতকালীন শসা চাষ করে তারা এই নভেম্বর মাসে চাষ করে থাকে। তাই যারা ভাবতেছে,নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? তারা এই শীতকালীন শসা বানিজ্যিক ভাবে চাষ করে অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারেন।
অক্টোবর মাসে কোন কোন সবজি চাষ করা যায়
২৪। তরমুজ চাষঃ আমাদের দেশে শীতকালে যত গুলো উচ্চ মুল্যের ফসল চাষ হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তরমুজ। আমাদের দেশে গ্রীস্মকালে এবং শীতকালে দুই সময়েই তরমুজ বানিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে। তবে শীতকালে তরমুজের ফলন অনেক বেশি হয়। আর শীতকালে তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় হচ্ছে নভেম্বর মাস। তাই আপনারা যারা জানতে চান, নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় এবং নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? তারা চাইলে নভেম্বর মাসে বানিজ্যিকভাবে শীতকালীন তরমুজ চাষ করতে পারেন।
নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক?
আমরা সকলেই জানি আমাদের দেশে শীতকালীন সবজি গুলোর অনেক ভালো ফলন হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের দেশে অনেক বেশি শীতকালীন সবজি চাষ হওয়ার কারনে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক ভাবে একটু কম থাকে। তাই যারা সচেতন আছেন তাদের উচিত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ মুল্যের সবজি চাষ করা। তাই নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক তার একটি তালিকা নিচে দেয়া হলো। আপনারা যারা জানতে চান, নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়? তারা যদি নিম্ন লিখিত সবজি গুলো চাষ করেন তাহলে সচরাচর শীতকালীন সবজি গুলোর তুলনায় অনেক বেশি লাভ করতে পারবেন।
১। ক্যাপসিকাম চাষ
২। শীতকালীন শসা চাষ
৩। তরমুজ চাষ
৪। পেঁপে চাষ
৫। পেঁয়াজ চাষ
৬। বেগুন চাষ
৭। মরিচ চাষ
৮। ব্রকলি চাষসাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়?
নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায় তা নিচে দেয়া হলোঃ
১। ক্যাপসিকাম চাষ
২। ফুল কপি চাষ
৩। বাঁধা কপি চাষ
৪। ব্রকলি চাষ
৫। স্কোয়াস চাষ
৬। ওলকপি চাষ
৭। মরিচ চাষ
৮। বেগুন চাষ
৯। শীতকালীন টমেটো চাষ
১০। মুলা চাষ
১১। গাজর চাষ
১২। বাটি শাক চাষ
১৩। লাল শাক চাষ
১৪। মটর শুটি চাষ
১৫। পেঁয়াজ চাষ
১৬। রসুন চাষ
১৭। ধনিয়া শাক চাষ
১৮। পালং শাক চাষ
১৯। লাউ চাষ
২০। সিম চাষ
২১। পেঁপে চাষ
২২। আলু চাষ
২৩। শীতকালীন শসা চাষ
২৪। তরমুজ চাষ
নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক?
নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক তা নিচে দেয়া হলোঃ
১। ক্যাপসিকাম চাষ
২। শীতকালীন শসা চাষ
৩। তরমুজ চাষ
৪। পেঁপে চাষ
৫। পেঁয়াজ চাষ
৬। বেগুন চাষ
৭। মরিচ চাষ
৮। ব্রকলি চাষ
শেষকথা-নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা, এই পোস্টটিতে আমি, নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়।নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি,আপনারা নভেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ যায়।নভেম্বর মাসে কোন সবজি চাষ করা বেশি লাভজনক? এই বিষয়টি ভালো ভাবে বুজতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ