ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব খুব কমন একটি সমস্যা। এই সমস্যাটি পুরুষ এবং মহিলা সকলেরই হয়ে থাকে। আপনার বা আপনার পরিবারের কারো যদি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যাটি থেকে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ।
কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কেন হয়, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়, প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে? এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের দোয়া ইত্যাদি সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
তাই আপনি যদি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কেন হয় এবং ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় সহ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুণ।
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কেন হয়
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব একটি খুব কমন সমস্যা, যা পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হতে পারে। এমনকি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যাটি যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। এই সমস্যাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। নিচে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কেন হয়, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি জনিত সমস্যা
প্রোস্টেট গ্রন্থি সাধারণত পুরুষদের মূত্রথলির চারপাশে অবস্থিত একটি গ্রন্থি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই প্রস্টেট গ্রন্থিটি প্রায়শই বড় হয়ে যায়। ফলে মূত্রনালী সংকুচিত হয়ে যায় এবং প্রস্রাব নির্গত হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলে অনেকের প্রস্রাবের শেষে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হতে পারে।
মূত্রাশয়ের অসম্পূর্ণ খালি করা
প্রস্রাবের সময় মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি না হলে, অবশিষ্ট প্রস্রাব মূত্রনালীতে থেকে যেতে পারে, যার ফলে মূল স্রোত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হতে পারে। এটি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের অন্যতম একটি কারণ।
মূত্রনালীতে সংক্রমণ
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের আরেকটি কারণ হচ্ছে মূত্রনালিতে সংক্রমণ। মূত্রনালীতে সংক্রমণ হলে প্রস্রাবের বেগ কমে যায় এবং প্রস্রাব নির্গত হওয়ার সময় ব্যথা অনুভব হতে পারে। এতে প্রস্রাবের শেষে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়ার সম্বাবনা থাকে।
স্নায়বিক সমস্যা
স্নায়বিক সমস্যার কারণেও এই সমস্যাটি হতে পারে। স্নায়বিক সমস্যার কারণে মূত্রথলির পেশীগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ কমে যায়। যার কারণে প্রস্রাব নির্গত হওয়ার সময় বাধা সৃষ্টি হয়। এর ফলেও প্রস্রাবের শেষে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়ার সম্বাবনা থাকে।
দুর্বল পেলভিক পেশী
পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলির দুর্বলতার কারণেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যাটি হতে পারে।
মূত্রনালীর টিউমার
মূত্রনালীতে টিউমার হলে প্রস্রাবের বেগ অনেকাংশে কমে যায় এবং প্রস্রাব নির্গত হওয়ার সময় ব্যথা হতে পারে। যার ফলেও এই সমস্যাটি হতে পারে। প্রস্রাব হতে পারে।
ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার
দাগ টিস্যু বা অন্যান্য অনেক কারণে মূত্রনালী সরু হয়ে যায়। যা প্রস্রাবের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং এই কারণেও এই সমস্যাটি হয়ে থাকে।
অস্ত্রোপচার-পরবর্তী প্রভাব
কিছু কিছু অস্ত্রোপচার করার কারণেও এই সমস্যাটি হওয়ার সম্বাবনা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যে অস্ত্রোপচারগুলি পেলভিক এলাকা বা মূত্রতন্ত্রের সাথে ।
এছাড়াও, কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হতে পারে।
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায়
এটি এমন একটি সমস্যা যে সমস্যাটি নারী এবং পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই হতে পারে। নিচে আপনাদের সুবিধার্থে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় গুলো আলোচনা করা হলো। যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো বা আপনার পরিচিত কারোর এই সময্যাটি হয়ে থাকে, তাহলে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন, এই আর্টিকেলে যে সকল তথ্য দেওয়া হলো তা শুধুমাত্র আপনাদেরকে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য এবং আপনাদেরকে সচেতন করার জন্য। তবে এটিও সত্য যে, এখানে যে তথ্য গুলো দেওয়া হলো না কোন মনগড়া তথ্য নয়। সবগুলোই পরিক্ষিত এবং ভালো ভাবে যাচাই বাচাই করে তারপর দেওয়া হয়েছে।
তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ একজন ডাক্তার ভালো ভাবে পরীক্ষা করে, সঠিক কারণ খুজে বের করে সঠিক চিকিৎসা দেবেন। তাই আপনাদের উচিত ভালো একজন ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
তবে আপনার যদি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার মত সামর্থ্য না থাকে, তাহলে এই উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে চলুন আর বেশি কথা না বলে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় গুলো জেনে নেই।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
আমাদের সকলেরই উচিত নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা। কারণ নিয়মিত পানি পান করলে মূত্রাশয় পরিষ্কার থাকে এবং প্রস্রাবের প্রবাহ সহজ হয়। আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
নিয়মিত মূত্রত্যাগ করুন
মূত্রাশয় পূর্ণ হলে মূত্রথলির পেশীগুলি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্বাবনা থাকে। যার কারণে এই সমস্যাটি হতে পারে। তাই আমাদের মূত্রাশয় পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রস্রাব করা উচিত। প্রতি ২ থেকে ৩ ঘন্টা পরপর আমাদের প্রস্রাব করা উচিত।
নির্ধারিত বাথরুম বিরতি
বাথরুম বিরতির জন্য একটি নিয়মিত সময়সূচী তৈরি করতে পারেন, এমনকি যদি আপনি প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভব যদি না করেন তবুও। এটি মূত্রাশয়কে অনেক বেশি পূর্ণ হওয়া থেকে রোধ করতে এবং ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের আরেকটি উপায় হচ্ছে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ আপনার অতিরিক্ত ওজন পেলভিক পেশীতে চাপ দিতে পারে এবং প্রস্রাবের সমস্যাই অবদান রাখতে পারে। একটি সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সম্বব।
কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
আপনার যদি এই সমস্যাটি থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ কিছু কিছু খাবার এবং পানীয় মূত্রাশয়কে জ্বালাতন করতে এবং ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের কারণ হতে পারে। যেমনঃ ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, মশলাদার খাবার এবং কৃত্রিম মিষ্টির মতো পদার্থ ইত্যাদি আপনি এড়িয়ে চলুন।
মূত্রনালী সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন
মূত্রনালী সংক্রমণ ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের একটি অন্যতম কারণ। তাই মূত্রনালী সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মেনে চলুন। যেমনঃ
- প্রচুরপরিমাণেপানিপানকরতে হবে।
- নিয়মিতমূত্রত্যাগকরতে হবে।
- ব্যক্তিগতস্বাস্থ্যবিধিবজায়রাখুন।
- ঝুঁকিপূর্ণযৌনকার্যকলাপএড়িয়েচলার চেষ্টা করুন।
- নিয়মিতশারীরিকপরীক্ষাকরতে পারেন।
পরীক্ষা করে ঔষধ সেবন করুন
যদি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের কারণ নির্ণয় করা যায়, তাহলে নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে এটি বন্ধ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যাটি হলে প্রোস্টেট হ্রাসকারী ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার উচিত পরীক্ষা করে ঔষধ সেবন করতে হবে।
ফিজিওথেরাপি
অনেক ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি মূত্রথলির পেশীগুলিকে অনেক শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। যার ফলেও এই সমস্যাটি কমে যায়।
অস্ত্রোপচার
প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির কারণে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যা হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে সঠিক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রোস্টেট গ্রন্থির একটি অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ অপসারণ করা যায়।
কেগেল ব্যায়াম
কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যে ব্যায়াম গুলো করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে এটি। কারণ কেগেল ব্যায়াম মূত্রথলির পেশীগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়ামগুলির মধ্যে অন্যতম একটি ব্যায়াম। কেগেল ব্যায়াম করার জন্য, আপনার মূত্রাশয়টি বন্ধ করার মতো অনুভূতি অনুভব করতে হবে। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড ধরে থাকুন, এরপর ছেড়ে দিন। এই ব্যায়ামটি দিনে ১০ থেকে ২০ বার নিয়মিত নিয়ম করে করতে হবে।
পিএসআই ব্যায়াম
যে সকল ব্যায়ামগুলি মূত্রথলির পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে সেইসকল ব্যায়াম গুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকর ব্যায়াম হচ্ছে পিএসআই ব্যায়াম। এই ব্যায়ামগুলি করার জন্য, আপনার মূত্রাশয়টি বন্ধ করার মতো অনুভূতি অনুভব করুন। এই অবস্থায় ৫ সেকেন্ড ধরে থাকুন, তারপর ছেড়ে দিন। এই ব্যায়ামটিও নিয়মিত ১০ থেকে ২০ বার করতে পারেন।
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব একটি খুব সাধারণ সমস্যা, তবে এর সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সমাধান করা সম্বব।
প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে
যাদের ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যাটি আছে তাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে যে প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে কি না? তাহলে চলুন আমরা এখন তাহলে এই প্রশ্নের সঠিক উওর জানার চেষ্টা করি। প্রস্রাবের পর দু’ য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক হয়ে যাবে কি না তা মূলত নির্ভর করে সেই ফোঁটার পরিমাণ এবং সেই কাপড়ের অবস্থার উপর।
যদি ফোঁটার পরিমাণ খুবই কম হয় এবং কাপড়টি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, তাহলে সেই ফোঁটা কাপড়কে নাপাক করবে না। তবে, যদি ফোঁটার পরিমাণ অনেক বেশি বা কিছুটা বেশি হয় বা কাপড়টি ভিজে থাকে, তাহলে সেই ফোঁটা কাপড়কে নাপাক করবে।
ইসলামিক শরিয়তের বিধান অনুসারে, প্রস্রাবের পর যদি কাপড়ে প্রস্রাবের কোনো চিহ্ন থাকে, তাহলে সেই কাপড় নাপাক হবে। তবে, যদি কাপড়ে প্রস্রাবের কোনো চিহ্ন না থাকে, তাহলে সেই কাপড় নাপাক হবে না।
প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কাপড় নাপাক হয়ে যাবে কি না তা নির্ধারণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা যেতে পারে। যেমনঃ
ফোঁটার পরিমাণঃ ফোঁটার পরিমাণ যদি খুবই কম হয়, তাহলে সেই ফোঁটা কাপড়কে নাপাক করবে না।
কাপড়ের অবস্থাঃ কাপড়টি যদি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, তাহলে সেই ফোঁটা কাপড়কে নাপাক করবে না।
ফোঁটার অবস্থানঃ ফোঁটা যদি কাপড়ের এমন স্থানে থাকে যা সহজে ধুয়ে যায়, তাহলে সেই ফোঁটা কাপড়কে নাপাক করবে না।
উদাহরণস্বরূপ আমরা আরো সহজ ভাষায় যদি বলি, যদি একজন ব্যক্তি প্রস্রাব করার পর তার পোশাকের কোমরের কাছে দু’য়েক ফোঁটা প্রস্রাব চলে আসে এবং সেই ফোঁটাগুলি খুবই সামান্য হয় এবং কাপড়টি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, তাহলে সেই ফোঁটার কারণে কাপড়টি নাপাক হবে না। তবে, যদি সেই ফোঁটাগুলি অনেক বড় হয় বা কিছুটা বড় হয় বা কাপড়টি ভিজে থাকে, তাহলে সেই ফোঁটার কারণে কাপড়টি নাপাক হবে।
এক্ষেত্রে, যদি আপনি সন্দিহান হন যে আপনার পোশাক নাপাক কি না, তাহলে আপনার পোশাক ধুয়ে ফেলা উওম।
ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের দোয়া
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের জন্য আপনি চাইলে নিচে দেওয়া দোয়াটি নিয়ম করে পড়তে পারেন।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুদামি ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসকাম
অর্থ:
"হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে পাগলামো, কুষ্ঠ এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর রোগ থেকে আশ্রয় চাই।"
এই দোয়াটি প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় তিনবার পড়তে হবে। এছাড়াও, প্রতিদিন ফজরের নামাজের পরে এবং ইশার নামাজের পরে এই দোয়াটি পড়তে পারেন।
এছাড়াও, আপনি চাইলে নিম্নলিখিত আমলটি করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করে শুয়ে পড়া। গোসলের সময় ফুঁ দিয়ে পানি ঢালতে হবে। গোসলের শেষে এই দোয়াটি পড়তে পারেন।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، الْحَيُّ الْقَيُّومُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম, ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আজিম
অর্থ:
"আল্লাহর নামে, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বশক্তিমান। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই, যিনি মহান, মহিমাময়।"
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর বা FAQ
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কী?
প্রস্রাব করার পরও মূত্রনালি থেকে কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব বেরিয়ে আসার ঘটনাকে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বলে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যা যেকোনো বয়সের পুরুষ বা মহিলা উভয়েরই হতে পারে।
ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধের দোয়া
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করে শুয়ে পড়া। গোসলের সময় ফুঁ দিয়ে পানি ঢালতে হবে। গোসলের শেষে এই দোয়াটি পড়তে পারেন।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، الْحَيُّ الْقَيُّومُ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম, ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আজিম
অর্থ:
"আল্লাহর নামে, যিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সর্বশক্তিমান। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই, যিনি মহান, মহিমাময়।"
প্রস্রাবের পর দু’য়েক ফোঁটা চলে আসলে কি কাপড় নাপাক
হয়ে যাবে কি না?
ইসলামিক শরিয়তের বিধান
অনুসারে, প্রস্রাবের পর
যদি
কাপড়ে
প্রস্রাবের কোনো
চিহ্ন
থাকে,
তাহলে
সেই
কাপড়
নাপাক
হবে।
তবে,
যদি
কাপড়ে
প্রস্রাবের কোনো
চিহ্ন
না
থাকে,
তাহলে
সেই
কাপড়
নাপাক
হবে
না।
ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের কারণ কী?
বিভিন্ন কারণে ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যাটি হতে পারে। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু কারণ নিচে দেওয়া হলোঃ
- মূত্রনালিরসংক্রমণ
- মূত্রনালিরপ্রদাহ
- মূত্রথলিরপ্রদাহ
- প্রস্টেটগ্রন্থিরবৃদ্ধি
- মূত্রাশয়েরনিয়ন্ত্রণহীনতা
- মূত্রনালিরসংকোচনশীলতাহ্রাস
শেষকথা
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটিতে আমি ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব কেন হয়, ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব বন্ধের উপায় সহ ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাবের সমস্যা জনিত সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। আমার এই আর্টিকেলের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা এবং সচেতন করা। তাই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত হন, তবে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ