আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ। কিভাবে আখের পরিচর্যা করতে হয়
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আপনি কি আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটিতে আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ এবং কিভাবে আখের পরিচর্যা করতে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনেক আগ থেকেই আমাদের দেশে আখ চাষ হয়ে আসছে। আখ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। তাই আখের আধুনিক চাষকে বাণিজ্যিক চাষ বলা হয়। আখ চাষ সম্পর্কে বলা হয় যে এটি একটি নিরাপদ চাষ কারণ প্রতিকূল পরিস্থিতিও আখ চাষকে মোটেই প্রভাবিত করে না।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ
আখ আমাদের দেশে একটি অর্থকরী ফসল, যা মূলত চিনি, গুড় এবং মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এতদসত্ত্বেও আখ চাষিদের অর্থনৈতিক অবস্থা কারো কাছে গোপন নয়। যেখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আখ চাষের খরচ। একই সঙ্গে কৃষকরা এখনও তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ কারণেই আখ বা অন্য কোনো চাষাবাদ চ্যালেঞ্জের চেয়ে কম নয়।
এমতাবস্থায় কৃষকদের আজ আখ চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবেই তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। তাহলে আসুন জেনে নিই কিভাবে আখের বৈজ্ঞানিক চাষ করা যায় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ। কিভাবে আখের পরিচর্যা করতে হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ কেনো করবো?
আখ চাষ একটি বহুবর্ষজীবী ফসল। একবার বপনের পর অন্তত তিনবার ফসল তোলা যায়। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করলে প্রতি বছর বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। আখ চাষ করে কৃষকরা ভুট্টা-গম, ধান-গম, সয়াবিন-গম, ডাল-গমের ফসল চক্রের চেয়ে বেশি আয় করতে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক ফসল।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিদা হলো আখ যদি খাড়া অবস্থায় ভালো দামে বিক্রি করা না যায় তাহলে আখ ভাঙ্গিয়ে রস করে অথবা গুড় তৈরি করে বিক্রি করলে আরো বেশি লাভবান হওয়া যায়। অর্থাৎ আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করলে লসের কোনো সম্বাবনা নেই। তাই আমদের দেশের কৃষকদের উচিত আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করা।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি ও জলবায়ু
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাটি হল দোআঁশ মাটি। এ ছাড়া ভারী দো-আঁশ মাটিতে আখ চাষে ভালো ফসল পাওয়া যায়। ক্ষারীয়, অম্লীয় বা জলাবদ্ধ মাটিতে আখ চাষ করা যায় না। গভীর দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য এমন একটি জমি বেছে নিন যেখানে ভালো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে। আসলে, অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে আখ গাছের ক্ষতি হয়। একই সময়ে, এটি স্বাভাবিক pH মান সহ মাটিতে সহজেই চাষ করা যায়। যেখানে শুষ্ক আর্দ্র আবহাওয়া আখ চাষের জন্য উপযোগী। এর চাষের জন্য, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত।
আখ চাষের জন্য উন্নত জাত নির্বাচন
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করার ক্ষেত্রে আখের উন্নত জাত খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আমাদের দেশে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের আখের জাত চাষ হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লাভজনক আখের জাত হচ্ছে ফিলিপাইনের কালো আখ। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করার ক্ষেত্রে এই জাতটি আমাদের দেশের যে কোনো কৃষক আমাদের দেশের যে কোনো অঞ্চলে চাষ করতে পারে।
আখের চারা নির্বাচন
আমাদের দেশের কৃষকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আখের চারা নির্বাচন করতে ভুল করে। যে ভুলের কারনে কৃষকরা লসের সম্মুখিন হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে সঠিক চারা নির্বাচন করা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আখের চারা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্থ চারা নির্বাচন করতে হবে।
শুধু তাই নয়,আখের চারা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আরো যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো যে জমিতে থেকে আখের চারা সংগ্রহ করা হবে সেই জমির আখ যেন পুরনো না হয়। প্রতিটি আখের জমির জন্য নতুন ক্ষেতের আখ থেকে চারা সংগ্রহ করতে হবে। আখের উপরের অংশ চারার জন্য ব্যবহার করা হলে খুব ভালো হয়।
উপরের অংশের বিশেষ বিষয় হল এটি শীঘ্রই অঙ্কুরিত হয়। আখের তিন চোখের টুকরো আলাদা করে কাটতে হবে। বীজ বপনের আগে জৈব ছত্রাকনাশক দিয়ে আখের বীজ শোধন করা প্রয়োজন।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য জমি তৈরি
প্রথমে ট্রাক্টর দিয়ে আখ চাষের জমি ৪ থেকে ৫ টি গভীর ভাবে চাষ করুন এবং জমিটি ৭ থেকে ১০ দিন খোলা রেখে দিন। এর পরে, জমিতে পুরানো গোবর সার যোগ করুন এবং একটি চাষী দিয়ে কেল বা গর্ত করুন। জমিতে আর্দ্রতা কম থাকলে সেচ দিয়ে জমি কয়েকদিন রেখে দিতে হবে। তার পর পরিমান মত সার দিয়ে আখের চারা রোপণ করতে হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য রোপণের সময় ও পদ্ধতি
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করার ক্ষেত্রে সঠিক সময় এবং সঠিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ করতে হবে। আখ বছরে দুবার রোপণ করা হয় অর্থাৎ শরৎ ও বসন্তে। সাধারণত শরৎ ফসলের রোপণ অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এবং বসন্ত ফসলের জন্য রোপণ ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে করা হয়। বসন্তের তুলনায় শরৎকালে এর ফলন বেশি হয়। কাটা ডালপালা বা নোডের মাধ্যমে আখ রোপণ করা হয়।
বসন্ত মৌসুমের জন্য ফসলের জন্য চারা থেকে চারার দূরত্ব ৭৫ সেন্টিমিটার রাখতে হবে, যেখানে শরৎ মৌসুমের আখের জন্য চারা থেকে চারার দূরত্ব ৯০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।
উভয় ফসলের জন্য ২০ সেমি গভীর ড্রেন খনন করা উচিত। রোপণের আগে আখের বীজকে কার্বেনডাজিম দ্রবণে ভালোভাবে শোধন করতে হবে।
কিভাবে আখের পরিচর্যা করতে হয়
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করে বেশি লাভবান হতে হলে সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। যদিও যে কোনো ফসল চাষাবাদের ক্ষেত্রেই সঠিক পরিচর্যা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের পর যখন চারা গজাবে তার ৫ থেকে ৭ দিন পর প্রথম কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। এরপর প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর নিয়মিত স্প্রে করতে হবে।
তারপর নিয়মিত জমির আগাছা পরিস্কার করতে হবে। জমির আদ্রতা বুজে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। এরপর যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পুরন,সেটি হলো নিয়মিত আখের পাতা ছাটাই করতে হবে। তারপর সময় মত আখের জমিতে সার দিতে হবে। আখ লম্বা হয়ে গেলে খুটি দিয়ে আখ বেধে দিতে হবে আখ যাতে বাতাসে পড়ে না যায়। এই সকল পরিচর্যা ঠিক মত করলে আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্বব।
আগাছা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা
আগাছা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চারা রোপণের পর এক মাসের ব্যবধানে ২ বার আগাছা ও কোদাল নিড়ানি দিতে হবে। আখ চাষে আগাছা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারা রোপণের পরপরই আগাছা নিয়ন্ত্রক কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে রাসায়নিকের সাহায্যে আগাছা পুরোপুরি ধ্বংস করা যায় না।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষে রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাপনা
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে চারা রোপণের আগে যদি চারা ভালোভাবে শোধণ করে রোপণ করা হয় তবে আখের জমিতে রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ অনেকাংশে কম হয়। তবে চারা গজানোর ৫ থেকে ৭ দিন পর প্রথম কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। এরপর প্রতি ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর নিয়মিত সিডিউল মত স্প্রে করলে আখের জমি ভালো থাকে। ফলে ফলন অনেক ভালো হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের সার ব্যবস্থাপনা
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করাটাও অনেক গুরুত্ব পূর্ণ। আখ ফসলটি যেহেতু দীর্ঘ সময়ের জন্য। তাই জমিতে সার ব্যবস্থাপনাও ভালোভাবে করতে হবে। প্রথমত, আখের জমিতে শেষ চাষ দেওয়ার আগে প্রতি হেক্টরে ২০ টন হারে পচা গোবর ও কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করতে হবে। এই সার জমির মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
এরপর প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০০ কেজি নাইট্রোজেন, ৫০০ কেজি সিঙ্গেল সুপার ফসফেট এবং ৬০ কেজি পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। পূর্ণ পরিমাণ এসএসপি ও পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু নাইট্রোজেনের পুরো পরিমাণকে সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করতে হবে। কৃষক ভাইদের নাইট্রোজেন চারা রোপণের ৩০ দিন পর, ৯০ দিন পর এবং চার মাস পর জমিতে সেচ দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষ
নাইট্রোজেনের সাথে নিমের পিঠা মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করলে কৃষকরা আখের ফসলে উইপোকা থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এ ছাড়া চারা রোপণের সময় জমিতে জিঙ্ক ও আয়রনের ঘাটতি পূরণের জন্য ২৫ কেজি জিঙ্ক সালফেট এবং ৫০ কেজি ফেরাস সালফেট ৩ বছরের ব্যবধানে প্রয়োগ করতে হবে।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের সেচ ব্যবস্থাপনা
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে সঠিক সেচ ব্যবস্থাপনাও অনেক জরুরি। বর্ষাকালে আখের জমিতে সেচের প্রয়োজন নেই। তবে শীতকালে ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধানে সেচ দিতে হবে এবং গ্রীষ্মকালে প্রতি সপ্তাহে সেচ দিতে হবে।
আখ চাষের জন্য ফসল সংগ্রহ ও উৎপাদন
আখের প্রথম দিকের ফসল ১০ থেকে ১২ মাসে প্রস্তুত হয় এবং শেষের জাত ১৪ মাসে কাটার জন্য প্রস্তুত হয়। ফসল কাটার সময়, যত্ন নেওয়া উচিত যেন আখ মাটির কাছাকাছি কাটা হয়। আখ কাটার সময় যদি ভালো দাম না পাওয়া যায় তবে আখ ভাঙ্গিয়ে রস অথবা গুড় তৈরি করে বিক্রি করা অনেক বেশি লাভহনক। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ২০০০০০ থেকে ৩০০০০০ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা যায়।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর
আখের সবচেয়ে উন্নত জাত কোনটি?
আমাদের দেশে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের আখের জাত চাষ হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লাভজনক আখের জাত হচ্ছে ফিলিপাইনের কালো আখ। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করার ক্ষেত্রে এই জাতটি আমাদের দেশের যে কোনো কৃষক আমাদের দেশের যে কোনো অঞ্চলে চাষ করতে পারে।
আখ চাষের জন্য উপযুক্ত সময় কোনটি?
আখ বছরে দুবার রোপণ করা হয় অর্থাৎ শরৎ ও বসন্তে। সাধারণত শরৎ ফসলের রোপণ অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে এবং বসন্ত ফসলের জন্য রোপণ ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে করা হয়। বসন্তের তুলনায় শরৎকালে এর ফলন বেশি হয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ কেনো করবো?
আখ চাষ একটি বহুবর্ষজীবী ফসল। একবার বপনের পর অন্তত তিনবার ফসল তোলা যায়। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় চাষাবাদ করলে প্রতি বছর বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। আখ চাষ করে কৃষকরা ভুট্টা-গম, ধান-গম, সয়াবিন-গম, ডাল-গমের ফসল চক্রের চেয়ে বেশি আয় করতে পারে। আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক ফসল।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিদা হলো আখ যদি খাড়া অবস্থায় ভালো দামে বিক্রি করা না যায় তাহলে আখ ভাঙ্গিয়ে রস করে অথবা গুড় তৈরি করে বিক্রি করলে আরো বেশি লাভবান হওয়া যায়। অর্থাৎ আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করলে লসের কোনো সম্বাবনা নেই। তাই আমদের দেশের কৃষকদের উচিত আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করা।
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি কোনটি?
আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মাটি হল দোআঁশ মাটি। এ ছাড়া ভারী দো-আঁশ মাটিতে আখ চাষে ভালো ফসল পাওয়া যায়। ক্ষারীয়, অম্লীয় বা জলাবদ্ধ মাটিতে আখ চাষ করা যায় না। গভীর দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
শেষকথা-আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ
প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনেরা আমি এই আর্টিকেলটিতে আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। আখ যেহেতু অনেক লাভজনক চাষ, তাই আপনারা যারা চাষাবাদের সাথে যুক্ত আছেন তারা চাইলে কোনো সন্দেহ ছাড়াই আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ করতে পারেন। আখ যেহেতু খাড়া অবস্থায় অথবা আখ ভাঙ্গিয়ে রস বা গুড় তৈরি করে বিক্রি করা যায়। তাই বলা যায় আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষে কোনো লস হওয়ার সম্বাবনা নেই।