মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

আপনারা কি মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমি এই আর্টিকেলটিতে  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ, মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত সময়, মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ কেনো করবো ইত্যাদি অর্থাৎ  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ

শীত মৌসুমের সবজির মধ্যে স্কোয়াশ একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এর চাহিদা ভালো কৃষকরা সব ধরনের মাটিতে এটি চাষ করতে পারে। মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শীতল ও আর্দ্র আবহাওয়ায় মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ চাষ করা ভালো। এটি প্রচন্ড ঠান্ডা বা চরম তাপ সহ্য করতে পারে না। শুষ্ক আবহাওয়া ও আর্দ্রতাও এ ফসলের অনুকূল নয়। যদিও মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সব জায়গায় বপন করা হয়।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ

স্কোয়াশ বিদেশি সবজি হলেও বর্তমানে আমাদের দেশে স্কোয়াশ চাষ দিন দিন বাড়তেছে। শীতকালে অন্যান্য শীতকালীন সবজির মত মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করা খুব লাভজনক। সারা পৃথিবীর কৃষি যেহেতু উন্নত হচ্ছে সাথে সাথে আমাদের বাংলাদেশের কৃষিও উন্নত হচ্ছে। আর তাই আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিত তরুণ স্মার্ট কৃষি উদ্ধোক্তারা বর্তমানে দেশিয় সবজির পাশা পাশি বিদেশি সবজি মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ আপনি কি আধুনিক পদ্ধতিতে বাঁধাকপি চাষ

মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে, আপনি একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারেন যা স্বাস্থ্যকর স্কোয়াশের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং ঘন ঘন জল দেওয়া এবং আগাছা দেওয়ার প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। এই কৌশলটি গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে যেখানে সফল স্কোয়াশ চাষের জন্য আর্দ্রতা ধরে রাখা অপরিহার্য।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ খুবই লাভজনক ও জনপ্রিয় একটি চাষ। বিশেষ করে শহরে বিভিন্ন রেস্টোরেন্ট গুলোতে স্কোয়াসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেহেতু স্কোয়াস উচ্চ মুল্যের একটি সবজি তাই দিন দিন এর চাষ বাড়তেছে। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করে আমাদের দেশের হাজার হাজার স্মার্ট কৃষি উদ্ধোক্তারা সফল হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক কৃষক আছে যারা  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেনা। কিন্তু তারা  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে চান্তে চায়। আর তাই আমি এই আর্টিকেলটিতে  মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে উপকৃত হবেন।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ কেনো করবো?

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার আগে আমাদের জানা দরকার মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ কেনো করবো। আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আমাদের দেশের হাজার হাজার সবজি থাকতে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ কেনো করবো? আমরা সকলেই জানি স্কোয়াস বিদেশি সবজি । তবে বিদেশি সবজি হলেও আমাদের দেশে স্কোয়াসের ভালো চাহিদা আছে। যেহেতু স্কোয়াস খুব সুস্বাদু ও পুষ্টি গুণে ভরপুর একটি সবজি এবং স্কোয়াস খুবই উচ্চ মুল্যের একটি সবজি। 

বিশেষ করে শহরের বড় বড় রেস্টোরেন্ট গুলোতে স্কোয়াসের প্রচুর চাহিদা। আমরা সকলেই জানি বর্তমানে শীতকালে বাজারে প্রচুর সবজি থাকে ফলে সবজির বাজার কিছুটা কম থাকে। কিন্তু  এই স্কোয়াস উচ্চ মুল্যের বিদেশি সবজি হওয়ায় স্কোয়াসের বাজার অন্যান্য শীতকালীন সবজির তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর যেহেতু এর বাজার চাহিদা বেশি তাই দিন দিন স্কোয়াসের বানিজ্যিক চাষাবাদ আমাদের দেশে বাড়তেছে। আর আমরা সকলেই জানি যে কোনো সবজি ফসলের জন্য মালচিং পদ্ধতি একটি নতুন আবিস্কার। মালচিং পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে খরচ অনেক কম হয়। ফলে কৃষক বেশি লাভবান হয়। আর তাই আমাদের দেশের কৃষকদের মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করা উচিত।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত সময় 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করা খুব জরুরি। কারণ যে কোন ফসলের ক্ষেত্রে আমরা জানি বাজারে সবার আগে সবজি তুলতে পারলে বাজার দর অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই আমরা চেষ্টা করবো কিছুটা আগাম চাষ করার জন্য। আমরা যেহেতু মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ করবো তাই আগাম চাষ করা যাবে। 

আরো পড়ুনঃ আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষ

অন্যান্য দেশে স্কোয়াশ সারা বছর চাষ করা হলেও আমাদের দেশে এটি সাধারণত শীতকালে চাষ করা হয়ে থাকে। তবে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করলে কিছুটা আগাম চাষ করা যায়। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ আগাম করতে হলে আগস্টের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে চারা বা বীজ লাগাতে হবে । এছাড়াও ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করা যায়।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত মাটি

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য পূর্ণ সূর্যের প্রয়োজন, যার মানে তাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা সরাসরি সূর্যালোক প্রয়োজন। ভাল জৈব উপাদান সঙ্গে ভাল নিষ্কাশন মাটি নিশ্চিত করুন. এছাড়াও, জমিতে ভাল নিষ্কাশন থাকা উচিত, জলাবদ্ধতার কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয় এবং ভাল জীবাশ্মযুক্ত মাটি থাকা উচিত।  

যার pH মান ৫.৫ থেকে ৬.৮ এর মধ্যে হওয়া উচিত। আর দোআঁশ বা এঁটেল মাটি পশ্চাৎপদ ধরনের চাষের জন্য উপযোগী। এই ধরনের ক্ষেত ভাল জৈব পদার্থ এবং ভাল নিষ্কাশনের সাথে উর্বর হওয়া উচিত। এর চাষের জন্য, জমির pH মান ৫.৫ থেকে ৭ এর মধ্যে হওয়া উচিত। স্কোয়াশ নিরপেক্ষ মাটি (pH 6.0-7.0) থেকে সামান্য অম্লীয় পছন্দ করে।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত জলবায়ু ও তাপমাত্রা

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ এর সফল চাষের জন্য শীতল ও আর্দ্র জলবায়ু সবচেয়ে ভালো। এটি শীতল ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজেই জন্মানো যায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের কারণে ফুলের বেশি ক্ষতি হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধির সময় তাপমাত্রা অনুকূলের চেয়ে কম হলে ফুলের আকার ছোট হয়ে যায়। ভালো ফসলের জন্য ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। খুব গরম জলবায়ু এর চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ গরম আবহাওয়ায় এর ফুলের গুণাগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে ফলনও ভালো হয় না।  

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জমি তৈরি

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করার জন্য প্রথমে জমি ৪ থেকে ৬ টি গভীর করে চাষ দিতে হবে। শেষ চাষের আগে পরিমাণ মত সার গুলো জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। তারপর লেবার দিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। তারপর বেডের উপর দিয়ে ভালো ভাবে মালচিং পেপার বিছাতে হবে। তারপর স্কোয়াশের চারা রোপণের জন্য ১৮ ইঞ্চি বা ২৬ ইঞ্চি দুরে দুরে চারা রোপনের জন্য মালচিং এর উপর ছিদ্র করতে হবে।  

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের সার ব্যবস্থাপনা

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করার জন্য সঠিক সার ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। প্রতি একর  ভিত্তিতে প্রয়োগ করতে, নিম্নলিখিত সার প্রয়োগ করুন:- ৪০ টন গোবর সার ৫০ কেজি নাইট্রোজেন (১০০ কেজি ইউরিয়া) ২৫-৩০ কেজি ফসফরাস (১৫০ কেজি সুপারফসফেট) ২৫-৩০ কেজি পটাশ (৪০ কেজি মিউরেট অফ পটাশ) সমস্ত গোবর সার + সমস্ত ফসফরাস + সমস্ত পটাশ + অর্ধেক নাইট্রোজেন রোপণের আগে জমিতে রাখুন এবং ভালভাবে মিশিয়ে নিন। আর বাকি অর্ধেক নাইট্রোজেন চার সপ্তাহ পর যোগ করুন। 

আরো পড়ুনঃ আধুনিক পদ্ধতিতে আখ চাষ

তবে সারের পরিমান জমির উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে। 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য চারা তৈরি

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করার জন্য চারা তৈরি খুব বেশি জরুরি নয়। কারণ উন্নত মানের বীজ হলে সরাসরি বীজ মূল জমিতে বপন করা যায়। তবে নার্সারিতে উন্নত প্রযুক্তিতে উন্নত চারা তৈরি করে নিলে ভালো হয়।

তবে বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক জায়গায় গ্রিনহাউজের মাধ্যমে মাটির স্পর্শ ছাড়া শত ভাগ সুস্থ চারা উৎপাদন হচ্ছে। সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করে রোপণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য চারা রোপণ

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে চারা রোপণ করতে হবে। তা না হলে চারা মারা যেতে পারে। চারা রোপণের আগে অবশ্যই জমিতে সেচ দিয়ে নিতে হবে। চারা রোপণ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন চারার কোন অংশ মালচিং পেপারের সাথে টাচ না লাগে। অন্যথায় মালচিং পেপারের সাথে টাচ লাগলে মালচিং পেপার যেহেতু সূর্যের তাপে গরম হয় যেহেতু চারা নষ্ট হতে পারে। তাই চারা অবশ্যই ছিদ্রের মাঝখানে রোপণ করতে হবে। চারা গোরা মাটির বেশি নিচে দেয়া যাবেনা। চারা অবশ্যই বিকেলবেলা রোপণ করা উওম।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত সেচ ব্যবস্থাপনা

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করার জন্য সেচ ব্যবস্থাপনা খুব জরুরি। স্কোয়াশের চারা রোপণ করার পর পরই প্রথম সেচ দিতে হবে। এর পর মাটির আদ্রতা বুজে ১০ থেকে ১২ দিন পর পর নিয়মিত সেচ দিতে হবে।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের আগাছা নিয়ন্ত্রণ

আরো পড়ুনঃ

যে কোন ফসলের ক্ষেত্রে আগাছা খুব বড় একটি সমস্যা। বিশেষ করে সবজি ফসলের ক্ষেত্রে আগাছা অনেক বড় একটি বাঁধা। তাই আগাছা নিয়ন্ত্রণ খুব জুরুরি। আর এই আগাছা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের যে কোন সবজি ফসলের ক্ষেত্রে মালচিং পেপার ব্যবহার করা উচিত। কারণ মালচিং একটি প্রাকৃতিক আগাছা বাধা হিসাবে কাজ করে, আপনার স্কোয়াশ গাছের চারপাশে আগাছার প্রতিযোগিতা হ্রাস করে।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের রোগ ও পোকা মাকড় দমন ব্যবস্থাপনা 

যে কোনো সবজি ফসলের ভালো ফলন পাওয়ার ক্ষেত্রে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ সবচেয়ে বড় বাঁধা। যদিও মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করলে রোগ ও পোকার আক্রমণ একটু কম হয়। তবু ভালো ফলন পাওয়ার জন্য নিয়মিত সিডিউল স্প্রে করা উওম। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল রোগ দেখা দেয় তা নিচে দেয়া হলোঃ

১.পচনঃ এই রোগটি সাধারণত চারা রোপণের ৫-৭ দিনের মধ্যেই দেখা দেয়। এটি দমন করার জন্য কারবন্ডাজিম গ্রোপের ছত্রাক নাশক প্রতি লিটার মানিতে  ২ মিলি হারে মিশিয়ে শেষ বিকেলে চারা রোপনের ৩ দিন পর স্প্রে করতে হবে।

২.কাটোই পোকাঃ এই পোকা চারার গোড়া কেটে ফেলে । এই পোকা দমনের জন্য এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে, বীজ বপনের আগে প্রতি একর মাটিতে ১০ কেজি মিথাইল প্যারাথিয়ন বা ম্যালাথিয়ন প্রয়োগ করুন।

আরো পড়ুনঃমালচিং পদ্ধতিতে ফুলকপি চাষ

৩.বিভিন্ন চোশক পোকার আক্রমনঃ চোশক পোকা বলতে সাদা মাছি,লাল মাকড়, জাব পোকা ইত্যাদি পোকার আক্রমণ থেকে বাচতে ৫ থেকে ৭ দিন পর পর ইমিটাক্লোরোপিড গ্রোপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে ভালোভাবে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করতে হবে।

৪.পাতায় ডাউনি মিলডি ও পাউডার মিলডি রোগঃ পাতায় এই রোগ দেখা দিলে মেটাল্যাক্সিল + ম্যানকোজেব প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে ১০ দিনের ব্যবধানে মোট ৩টি স্প্রে করতে হবে।

সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উওর 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত সময় কোনটি?

অন্যান্য দেশে স্কোয়াশ সারা বছর চাষ করা হলেও আমাদের দেশে এটি সাধারণত শীতকালে চাষ করা হয়ে থাকে। তবে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করলে কিছুটা আগাম চাষ করা যায়। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ আগাম করতে হলে আগস্টের শেষের দিকে অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে চারা বা বীজ লাগাতে হবে । এছাড়াও ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করা যায়। 

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত মাটি কোনটি?

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের জন্য পূর্ণ সূর্যের প্রয়োজন, যার মানে তাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা সরাসরি সূর্যালোক প্রয়োজন। ভাল জৈব উপাদান সঙ্গে ভাল নিষ্কাশন মাটি নিশ্চিত করুন. এছাড়াও, জমিতে ভাল নিষ্কাশন থাকা উচিত, জলাবদ্ধতার কোনও সমস্যা হওয়া উচিত নয় এবং ভাল জীবাশ্মযুক্ত মাটি থাকা উচিত।  

যার pH মান ৫.৫ থেকে ৬.৮ এর মধ্যে হওয়া উচিত। আর দোআঁশ বা এঁটেল মাটি পশ্চাৎপদ ধরনের চাষের জন্য উপযোগী। এই ধরনের ক্ষেত ভাল জৈব পদার্থ এবং ভাল নিষ্কাশনের সাথে উর্বর হওয়া উচিত। এর চাষের জন্য, জমির pH মান ৫.৫ থেকে ৭ এর মধ্যে হওয়া উচিত। স্কোয়াশ নিরপেক্ষ মাটি (pH 6.0-7.0) থেকে সামান্য অম্লীয় পছন্দ করে।

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষের উপযুক্ত জলবায়ু ও তাপমাত্রা কোনটি?

মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ এর সফল চাষের জন্য শীতল ও আর্দ্র জলবায়ু সবচেয়ে ভালো। এটি শীতল ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজেই জন্মানো যায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের কারণে ফুলের বেশি ক্ষতি হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধির সময় তাপমাত্রা অনুকূলের চেয়ে কম হলে ফুলের আকার ছোট হয়ে যায়। ভালো ফসলের জন্য ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সবচেয়ে ভালো। খুব গরম জলবায়ু এর চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। কারণ গরম আবহাওয়ায় এর ফুলের গুণাগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে ফলনও ভালো হয় না।   

শেষকথা-মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ 

প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনেরা, আমি এই আর্টিকেলটিতে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলটি থেকে আপনার মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। 

পরিশেষে আমরা বলতে পারি,যেহেতু মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ একটি লাভজনক চাষ, অনেকেই যেহেতু মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে তাই আপনারা চাইলে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করতে পারেন। আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ


 

Previou Movie Next Movie